আসিয়ান সম্মেলনে জান্তাপ্রধানকে বাদ দেওয়ায় ‘খুবই হতাশ’ মিয়ানমার সরকার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার বলেছে, আসন্ন আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন থেকে মিয়ানমারের নেতা মিন অং হ্লাইংকে বাদ দেওয়ার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সিদ্ধান্তে তারা ‘খুবই হতাশ’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 04:27 PM
Updated : 17 Oct 2021, 04:27 PM

সিএনএন জানায়, আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন যে, ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের সেনাশাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

আসিয়ানের সভাপতি ব্রুনেইয়ের একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছিল। সামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একমত হতে না পারায় বিবৃতিতে ব্রুনেই জানায়, সম্মেলনে মিয়ানমারের একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ব্রুনেইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন, গত এপ্রিলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বৈঠকে মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি রোডম্যাপে রাজি হয়েছিল জান্তা সরকার। কিন্তু তাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি।

তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমার জান্তার দেওয়া অঙ্গীকার নিয়েও উদ্বেগ আছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারকে তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো ঠিক করা এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়া হোক বলে আসিয়ানের কিছু সদস্যদেশ সুপারিশ করেছে।

কিন্তু এরই মধ্যে আসিয়ান সম্মেলন থেকে জান্তা নেতা হ্লাইংকে বাদ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এ নিয়ে “অত্যন্ত হতাশ এবং এতে তীব্র আপত্তি” জানাচ্ছে।

“আসিয়ানের জরুরি বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে এবং মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা ঐকমত্য ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। আর তা আসিয়ানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যরও বিরোধী,” বলেছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের এক মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তের পেছনে বিদেশি হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, “মিয়ানমার জান্তাকে সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়ার পদক্ষেপ তারা সমর্থন করে। এ সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও আসিয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে তা দরকারী।”

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “বিশেষ দূতকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণভাবে পাঁচ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানাচ্ছে সিঙ্গাপুর।”