তিনি পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সুগা এক বছর দায়িত্ব পালন করেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।
গত সপ্তাহে জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বের দৌড়ে জয়ী হন কিশিদা (৬৪) । পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সোমবার কোনো বাধা ছাড়াই তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মহামারী পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলার মতো কঠিন সব ইস্যু সামাল দিতে হবে কিশিদাকে। এর পাশাপাশি সাধারণ নির্বাচনে এলডিপিকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়া তার অন্যতম মিশন হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই কিশিদা আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করবেন জানিয়ে ৩১ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন।
নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ব্যাপকভাবে এমন ধারণার মধ্যেই সবাইকে বিস্মিত করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ঐতিহ্যগতভাবে নতুন সরকারের পাওয়া জনসমর্থনের সুবিধা কাজে লাগানো ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষরা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সুগা এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপর প্রায় ৭০ শতাংশ জনসমর্থন উপভোগ করেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় নির্বাচনের আগে এলডিপির নেতৃত্বে নতুন মুখ আসার পথ করে দিতে সরে দাঁড়ান তিনি।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিশিদা তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে দলীয় প্রধান হন।
এনএইচকে জানিয়েছে, সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার কথা জানিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।
এলডিপির নতুন মহাসচিব আকিরা আমারি জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিতভাবে কিছু না শুনলেও কিশিদা এই দিকেই যাবেন বলে তার বিশ্বাস।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শক্তিশালী জনসমর্থন থাকার পরও নির্বাচনের ডাক না দিয়ে সুগা যে ভুল করেছিলেন তার পুনরাবৃত্তি না করতেই কিশিদা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন।