স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূল থেকে সাগরে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 03:54 AM
Updated : 28 Sept 2021, 04:29 AM

কেউ পিয়ংইয়ংয়ের আত্মরক্ষার ও অস্ত্র পরীক্ষার অধিকার অস্বীকার করতে পারবে না, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার দূত এমন কথা বলার কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে ওই পরীক্ষাটি করা হয়, জানিয়েছে বিবিসি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী; জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে শুধু বলেছে, এটিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে হয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার দূত যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি তাদের শত্রুতা নীতি ত্যাগ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, কেউ তাদের আত্মরক্ষার ও অস্ত্র পরীক্ষার অধিকার অস্বীকার করতে পারবে না।

সিউল ও ওয়াশিংটনকে ‘দ্বিমুখী নীতি’ অনুসরণের জন্য অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, তারা উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচীর নিন্দা করলেও নিজেদের সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৫ সেপ্টেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, উভয়েই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এই দু্ই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশই ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্র উৎপাদন করে চলছে যার সর্বশেষ নজির ছিল ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

এর দুই দিন আগে একটি দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করা যাবে বলে এবং এটি উত্তর কোরিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

উত্তর কোরিয়ার এসব অস্ত্র পরীক্ষা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করে ওই সময় এর নিন্দা জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (এসএলবিএম) পরীক্ষা করলেও তা নিয়ে কিছু বলেনি।

তারপর থেকে ধারাবাহিক কয়েকটি বিবৃতি দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া তাদের দ্বিমুখী নীতি ও উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব বর্জন করলে তারা স্থবির হয়ে থাকা আন্তঃ-কোরিয়া সংলাপ শুরু করতে আগ্রহী।