কোভিড একসময় সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বরে পরিণত হবে: সারাহ গিলবার্ট

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার অন্যতম রূপকার অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ একসময় ব্যাপকভাবে সক্রিয় কিন্তু কেবল সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বর সৃষ্টি করতে পারে এমন করোনাভাইরাসবাহিত রোগের মতোই হয়ে যাবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2021, 06:50 AM
Updated : 24 Sept 2021, 06:50 AM

যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনের এক ওয়েবিনারে বুধবার তিনি এ কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড।

অক্সফোর্ডের ৫৯ বছর বয়সী অধ্যাপক সারাহর অনুমান, সময় যত গড়াবে ততই এখনকার আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়বে।

“আমরা এখনি মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয় এমন চারটি আলাদা করোনাভাইরাসের সঙ্গে বসরাস করছি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত হই না। একসময় এই সার্স-সিওভি-২’ও ওইগুলোর একটা হয়ে যাবে।

“প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা হতে কত সময় লাগবে; এবং সেই সময় পর্যন্ত আমরা তাকে মোকাবেলায় কী কী ব্যবস্থা নিতে পেরেছি,” বলেছেন কোভিড মহামারী শুরুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোচিত অন্যতম এ বিজ্ঞানী।

তিনি বলেন, “কোভিড আরো বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে এমন সম্ভাবনা খুব কম। কারণ ভাইরাসের যাওয়ার মতো জায়গা খুব বেশি নেই। ভবিষ্যতে এই ভাইরাস ক্রমশ শক্তি হারিয়ে ফেলবে, কেননা তখন তাকে কোভিড প্রতিরোধী জনগোষ্ঠীর মধ্য দিয়েই ছড়াতে হবে।”

ওয়েবিনারে সারাহ জানান, তিনি এখন অন্য সংক্রামক রোগগুলোর টিকা আবিষ্কারে প্রয়োজনীয় তহবিল পেতে অপেক্ষা করছেন।

“ভবিষ্যৎ মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে; সামান্য বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউণ্ড বাঁচাতে পারে,” বলেছেন তিনি।

এ খাতে সরকার ও গবেষণায় অর্থ দেওয়া অন্যদের বিনিয়োগে ঘাটতিই দেখাচ্ছে মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব সংক্রান্ত শিক্ষা এখনও অনেকে নেননি, বলেন সারাহ।

“অতীতে প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এমন রোগের টিকা বানাতে মহামারীর আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা, এ জন্য এখনও আমাদের তহবিল যোগাড়ের চেষ্টা করতে হচ্ছে।

“নিপাহ ভাইরাস, লাসা জ্বরের ভাইরাস ও মার্স করোনাভাইরাস- এ তিনটা নিয়ে আমি কাজ করছি এবং এগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,” বলেছেন তিনি।

অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনোলজির এ অধ্যাপক বলেন, “আমাদের এখনই ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবেলার পরিকল্পনা শুরু করা দরকার।

“এখনকার মতো পরিস্থিতি ফের হবে, এমনটা ভাবিয়ে লোকজনকে হতাশ করে তুলতে চাই না আমি। বাস্তবিক অর্থে এটা এমন একটা জিনিস যে অল্প কয়েকজন ভাবলেই চলে।”