বিবিসি জানায়, সাইটে কাজ করতে হলে টিকা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে এমন ঘোষণা আসার পর এর বিরুদ্ধে সোমবার বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে বাধ্যতামূলক টিকার বিরোধিতা করা নির্মাণ শ্রমিক এবং ইন্ডাস্ট্রি ইউনিয়নের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সংঘর্ষের কারণে কিছু সাইট দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সহিংসতায় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মেলবোর্নের আরেকটি টিকা-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় ও সাংবাদিকদের দিকে মূত্র ছুড়ে দেয়।
সোমবারের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে হটাতে রাবার বুলেট ও মরিচের স্প্রে ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ।
ওই সময় বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার কন্সট্রাকশন ফরেস্ট্রি এণ্ড এনার্জি ইউনিয়ন (সিএফএমইইউ) এর ভিক্টোরিয়া শাখায় ভাঙচুরও করে।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নির্মাণ শ্রমিকদেরকে কাজে বহাল থাকতে হলে অন্তত এক ডোজ কোভিড টিকা নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
তারপরই এ বিক্ষোভের সূত্রপাত। ইন্ডাস্ট্রি ইউনিয়ন সংঘর্ষে তাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এক বিবৃতিতে। বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তাদের দিকে বোতল ছুড়েছে বলেও জানানো হয়েছে এতে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৬৭ জন। বিশ্বের অন্যান্য দেরে তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় কোভিডে মত্যু তুলনামূলক কম।
ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারায় অস্ট্রেলিয়া প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপট রুখতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি ও ক্যানবেরায় লকডাউন জারি করা হয়েছে।