চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার নতুন নিরাপত্তা জোট

চীনের উত্থান মোকাবেলায় নিজেদের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে একটি বিশেষ নিরাপত্তা জোটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 04:39 AM
Updated : 16 Sept 2021, 04:39 AM

এর ফলে অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন বানানোর সুযোগ পেতে যাচ্ছে।

তিন দেশের এ জোটকে ডাকা হচ্ছে ‘অকাস’ নামে, তারা নিজেদের মধ্যে যেসব প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা বলছে তার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম ও সাইবার প্রযুক্তিও আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। 

অকাসে থাকা তিন দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও সামরিক উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।

নতুন এ জোটের কারণে অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে ১২টি সাবমেরিন বানাতে করা ৫ হাজার কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করতে হয়েছে। ফ্রান্স এমন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। নিউ জিল্যান্ড জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নতুন পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন যেন তাদের জলসীমা থেকে দূরে থাকে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক যৌথ বিবৃতিতে ‘অকাস’ নামের ত্রিপক্ষীয় এই নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “অকাসের অধীনে নেওয়া প্রথম উদ্যোগে, অস্ট্রেলিয়ার রাজকীয় নৌবাহিনীর জন্য পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন পেতে অস্ট্রেলিয়ার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

“তাদের এই সক্ষমতা ইন্দো-প্যাসিফিকে স্থিতিশীলতা বাড়াবে। আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও স্বার্থের সমর্থনে এগুলো (সাবমেরিন) মোতায়েন করা হবে।”

নতুন এ প্রতিরক্ষা জোট সাইবার সক্ষমতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ‘সমুদ্রের তলদেশে অতিরিক্ত সক্ষমতার’ ওপরও নজর দেবে, বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

জনসন বলেছেন, যে তিন দেশ মিলে ‘অকাস’ করেছে, তারা একে অপরের স্বাভাবিক মিত্র এবং নতুন এ জোট ‘তাদেরকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে’।

“এই অংশীদারিত্ব আমাদের নিজেদের স্বার্থ ও দেশে আমাদের জনগণের সুরক্ষায় ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে,” বলেছেন তিনি।