কোভিডের ‘ভয়ঙ্কর’ ঊর্ধ্বগতির মুখে জরুরি অবস্থা বাড়াচ্ছে জাপান

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যেতে থাকায় অলিম্পিক গেমসের আয়োজক দেশ জাপান রাজধানী টোকিওয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো ছাড়াও নতুন নতুন অঞ্চলে তা সম্প্রসারণ করছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2021, 03:25 PM
Updated : 30 July 2021, 03:25 PM

টোকিওর চাপাশের এলাকা এবং ওসাকা সিটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে। ওসাকাসহ জাপানের তিনটি প্রশাসনিক এলাকায় ২ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। আর টোকিওতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে অগাস্টের শেষ পর্যন্ত।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংক্রমণ নজিরবিহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীকে ঘরে বসে খেলা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের কারণে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। “এ সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে মারাত্মক অসুস্থ রোগী বেড়ে গিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও চাপে পড়তে পারে” বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুগা।

এর আগে জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নোরিহিশা তামুরা সতর্ক করে বলেছিলেন, “দেশ নতুন করে মহামারীর চরম এক ভীতিকর পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”

রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় মানুষ আর সামনের দিকে তাকাতে পারছে না। এ অবস্থা কতদিন চলবে তা ভেবে তারা উদ্বিগ্ন হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে না পারাটাও তারা মেনে নিতে পারছে না।”

কোভিড-১৯ মোকাবেলার লড়াইয়ে জাপান কিছুটা সফলতা অর্জন করেছিল। কয়েকমাস ধরে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা কম রাখতে পেরেছিল তারা। কিন্তু এখন সেখানে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ভাইরাস শনাক্ত হতে দেখা যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার জাপানজুড়ে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী টোকিওতে।

অলিম্পিক গেমস মূলত অনুষ্ঠিত হচ্ছে টোকিওতেই। সেখানে টানা তিনদিন রেকর্ডসংখ্যক মানুষের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ।

যদিও টোকিওতে অলিম্পিকস শুরুর আগে ১২ জুলাই থেকেই জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। যে জরুরি অবস্থার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ অগাস্ট পর্যন্ত, যা এখন আরও বাড়ানো হল।

অলিম্পিক গেমসের আয়োজকরা শুক্রবার খেলা চলাকালে ২৭ জন নতুন কোভিড শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে। এ নিয়ে জুলাইয়ের শুরু থেকে মোট কোভিড শনাক্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।

তবে খেলা দেখার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় এবং স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগমও নিষিদ্ধ থাকায় খেলার কারণে সংক্রমণ বাড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আয়োজকরা।