গত জুন মাসে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে। ডেল্টায়সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার এবং মারা গেছে ৯ জন।
বিবিসি জানায়, সোমবার থেকে অস্ত্র ছাড়াই টহল শুরু করবে সেনারা। তবে তার আগে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স ফোর্সের এই সেনারা সপ্তাহান্তে প্রশিক্ষণ নেবে।
সেনা মোতায়েন জরুরি ছিল কিনা তা নিয়ে সিডিনিতে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেনা নামানোকে বাড়াবাড়ি বলেই মনে করছেন তারা।
সিডনিতে শুরু হওয়া লকডাউন শেষ হবে আগামী ২৮ অগাস্ট। এর বিধিনিষেধের আওতায় বাসিন্দাদের খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যেতে মানা করা হয়েছে এবং মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু লকডাউনের পাঁচ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সিডনিতে সংক্রমণের বিস্তার ঘটেই চলেছে। কর্মকর্তারা গত শুক্রবারেই শহরে নতুন ৭০ জনের ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পটগুলোতে মানুষের বিধিনিষেধ মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিয়োজিত পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবে সেনা সদস্যরাও।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ মন্ত্রী ডেভিড ইলিয়ট বলেন, “সেনা মোতায়েন করা দরকার ছিল, কারণ অল্প সংখ্যক মানুষ মনে করছে, নিয়মবিধি তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।”
তবে অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী অ্যালায়েন্স সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, মুক্ত গণতন্ত্রের আবহে সেনা মোতায়েন বিপজ্জনক নজির স্থাপন করতে পারে।