বেইজিংয়ে ছয়মাসের মধ্যে প্রথম কোভিড শনাক্ত, নানজিংয়ে বাড়ছে ডেল্টা

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে প্রায় ছয়মাসের মধ্যে বুধবার প্রথম একজনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। ওদিকে, জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2021, 01:59 PM
Updated : 29 July 2021, 01:59 PM

সিএনএন জানায়, বুধবার চীনে ৪৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে তিনটি প্রদেশে ২৪ জন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।নতুন এই গুচ্ছ সংক্রমণ নিয়ে সব মিলে শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে।

যদিও জানুয়ারির পর থেকে দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে বুধবার চীনে কোভিড শনাক্তের সংখ্যা তার আগের দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবারের ৮৬ জনের তুলনায় কম। কিন্তু প্রাদেশিক সীমান্তগুলোতে ভাইরাসের বিস্তার ঘটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন চীনের নেতারা।

কারণ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শনাক্তের সংখ্যা কম থাকা এবং প্রাত্যহিক জীবন সচল হয়ে আসার পর ওই এলাকাগুলোতে এখন আবার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আর রাজধানী বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন করে দ্বিতীয় আরেকজনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

বেইজিংয়ে স্থানীয়ভাবে পরপর দুইদিনে ভাইরাস শনাক্ত হওয়া দুই ব্যক্তি স্বামী ও স্ত্রী বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, যারা সম্প্রতি হুনান প্রদেশের একটি নগরীতে ভ্রমণ করেছিলেন। সেখান থেকেই তারা সংক্রমতি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই দম্পতির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের লুকোউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন কর্মী আন্তর্জাতিক একটি উড়োজাহাজ পরিষ্কার করার সময় যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার মাধ্যমেই সেখানে ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে নানজিংয়ের লুকোউ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ৯৩ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। ২১ জুলাই থেকে নানজিংয়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের গণহারে ভাইরাস পরীক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার এই পরীক্ষার তৃতীয় পর্ব শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায় এ ভাইরাস। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়ে চীন এর রাশ টেনে ধরতে অনেকটা সফলও হয়েছে।

২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে সরকারি হিসাবে শনাক্তের সংখ্যা কম রয়েছে। মাঝে মাঝে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করামাত্র ত্বরিৎ নানা পদক্ষেপ নিয়ে চীন ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখে আসছে।