চীনের ভ্রুকুটি উস্কে দালাই লামার প্রতিনিধির সঙ্গে ব্লিনকেনের সাক্ষাৎ

ভারতে পা দিয়েই চীনের ভ্রুকুটি উস্কে তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন।

>>রয়টার্স
Published : 28 July 2021, 02:54 PM
Updated : 28 July 2021, 02:54 PM

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বুধবার এই সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন। দলাই লামার সঙ্গে মার্কিন সরকারের যোগাযোগ চীন ভালোভাবে নেবে না জেনেও ব্লিনকেন সে কাজটিই করলেন।

নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসন (সিটিএ) বা প্রবাসী তিব্বত সরকারের প্রতিনিধি এনজিডুপ ডংচং এর সঙ্গে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সাক্ষাৎ করেছিলেন দালাই লামার সঙ্গে।

এরপর থেকে দালাই লামার প্রতিনিধি এনজিডুপ ডংচং এর সঙ্গে ব্লিনকেনের বুধবারের সাক্ষাৎই তিব্বতি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য যোগাযোগ।

তবে এ সাক্ষাতের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

১৯৫০ সালে তিব্বত দখল করেছিল চীনের সেনারা। বেইজিং সেই দখলদারিত্বকে বলেছিল 'শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা'। বেইজিংয়ের শাসনের বিরুদ্ধে দালাই লামার বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তিনি পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।

তখন থেকে দালাই লামা ধর্মশালায় থাকছেন। সেখানেই গঠিত হয়েছে প্রবাসী তিব্বত সরকার। এই তিব্বত সরকার এবং তিব্বতি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ সম্প্রতি কয়েকমাসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরাল সমর্থন পেয়েছে।

আর এই কয়েকমাসে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সমালোচনাও বেড়ে গেছে। তিব্বতে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা করে আসছে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র।

২০২০ সালের নভেম্বরে প্রবাসী তিব্বতি সরকারের সাবেক প্রধান লবস্যাং সাঙ্গে হোয়াইট হাউজেও যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে। গত ছয় দশকের মধ্যে এমন সফর সেটিই ছিল প্রথম।

এর এক মাস পর মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি ও সমর্থন আইন পাস করে। সে আইনের আওতায় পরবর্তী দলাই লামা বাছাইয়ের জন্য তিব্বতিদের অধিকার দেওয়া এবং তিব্বতের রাজধানী লাসায় একটি মার্কিন কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।