মহামারীকালের হজ

মহামারীকালে দ্বিতীয় বছরের মত সীমিত পরিসরে সৌদি আরবে হজ পালন করছেন মুসলমানরা। মাস্ক আর শারীরিক দূরত্বের নিয়মের সঙ্গে এবার রয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2021, 08:40 AM
Updated : 19 July 2021, 10:09 AM

মহামারীর মধ্যে এবারও হজে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, মানতে হচ্ছে শারীরিক দূরত্বের নিয়ম

আধুনিক যুগে গতবছরই প্রথম মহামারীর কারণে সৌদি আরবের বাইরে থেকে কেউ মক্কায় এসে হজে যোগ দিতে পারেননি। এবারও বহাল রয়েছে সে নিয়ম। স্বাস্থ্যবিধি ও হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার বিশেষ ‘স্মার্ট হজ কার্ড’ চালু করেছে সৌদি আরব।

মিনায় সারি সারি তাবু, এখানেই রোববার রাত কাটিয়েছেন হজে সমবেত হওয়া মুসলমানরা।

তবে হজে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে। সৌদি আরবে অবস্থান করা মুসলমানদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ১৫০ দেশের ৬০ হাজার জন এবার হজ করতে পারছেন।  গতবার নজিরবিহীন বিধিনিষেধের মধ্যে মাত্র ১ হাজার মুসলমান হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

সোমবার মক্কার আরাফ ময়দানে চলছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এবারের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গত শনিবার। হজের সুযোগ পাওয়া মুসলমানরা রোববার সারা দিন মিনায় কাটিয়েছেন ইবাদত বন্দেগিতে।

আরাফাতের ময়দানে দূরত্ব রেখে প্রার্থনায় কয়েকজন।

সোমবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে মিনা থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরাফাতের ময়দানে। এখানেই সারা হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত এ ময়দান প্রকম্পিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ‘ ধ্বনিতে।

হজের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার আগে বদলানো হচ্ছে কাবার গিলাফ।

আরাফাতে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এবার খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা।

মক্কার মসজিদুল হারামে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছে একটি রোবট।

সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আরাফাত ময়দান থেকে হাজিরা যাবেন ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায়।  এশার নামাজ পড়ে সেখানেই তারা রাত কাটাবেন। প্রতীকী শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপের জন্য তাদের সরবরাহ করা হবে জীবাণুমুক্ত করা পাথর।

মিনায় একজন হজযাত্রীর ‘স্মার্ট হজ কার্ড’পরীক্ষা করে দেখছেন একজন কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে মুজদালিফা থেকে ফিরবেন মিনায়। সেখানে শয়তানের উদ্দেশে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন করে হাজিরা ফিরবেন স্বাভাবিক পোশাকে।

হজে অংশগ্রহণকারীরা মিনায় ছিলেন এরকম তাবুর ভেতরে।

সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।