কোভিড: সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সিডনিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতিতে সিডনিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও অন্তত ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2021, 04:01 AM
Updated : 14 July 2021, 04:20 AM

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রোধে প্রাথমিকভাবে তিন সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহরটিতে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেন, কমপক্ষে ৩০ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের কড়াকড়ি বজায় রাখা দরকার হতে পারে। এদিন নতুন করে ৯৭ জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানান তিনি, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেশি।

তিনি বলেন, “এমন সিদ্ধান্ত জানানোটা সবসময়ই বেদনাদায়ক, কিন্তু আমাদের আরও অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে।”

গ্লাডিস বেরেজিকলিয়ান জানিয়েছেন, ২৬ জুন থেকে চলমান এই লকডাউন তখনই তোলা হবে, যখন দৈনিক কোভিড রোগী শনাক্তের হার আবার শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসবে।

হাসপাতালে রোগী বেড়েছে

সিডনিতে সংক্রমণ বাড়ায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৭১ জন রোগী এখন সেখানে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের মধ্যে ২০ জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাদের একজনের বয়স ২০ বছরের মত এবং দুজন ৩০ বছরের আশপাশে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেরি চ্যান্ট বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তরুণদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা কম হলেও আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার মত পরিস্থিতি কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। তাই নিজেদের এবং প্রিয়জনদের নিরপদে রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।”

সিডনিতে এ পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্তের মোট সংখ্যা নয়শর সামান্য কম। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন দুজন।

রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষের একটি তালিকা থেকে জানা গেছে, শহরের যেসব এলাকা আগে নিরাপদ ছিল, এবার সেখানেও করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। সিডনির ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আঞ্চলিক এলাকা গোলবারনেও রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পাশের ভিকটোরিয়া রাজ্যের সীমান্ত এলাকাতেও তিনজন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন।  

২০১৯ এর ডিসেম্বরে মহামারী শুরুর পর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম সফল দেশ হিসেবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৩০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৯১২ জন।

তবে সেখানে টিকাদান কর্মসূচি চলছে ধীরগতিতে। এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের কম মানুষ।