ইসরায়েলি মালবাহী জাহাজে ‘ইরানের হামলা’

সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে থাকা আংশিক ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি মালবাহী জাহাজে সম্ভাব্য হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2021, 09:00 AM
Updated : 4 July 2021, 09:00 AM

ইসরায়েলের এন১২ টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার জাহাজটি সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। 

 তবে এরপরও নৌযানটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি এবং এর কোনো ক্রু’ও আহত হননি বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সংস্থার অনামা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এন১২।

সম্ভাব্য এ হামলার পেছনে ইরানের বাহিনী জড়িত কিনা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছে তারা। ঘটনার পরও জাহাজটির যাত্রা অব্যাহত ছিল বলেও জানিয়েছে তারা।

এন১২ এর আগেই লেবাননের ইরানপন্থি টেলিভিশন চ্যানেল আল মায়াদিন মালবাহী এ জাহাজে হামলার খবর দিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েলি টেলিভিশনটি জানিয়েছে, টিনডাল নামের ওই জলযানটির মালিক জোডিয়াক মেরিটাইম লিমিটেড।

কিন্তু পরে লন্ডনের সদরদপ্তর থেকে আন্তর্জাতিক এই জাহাজ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিটি জানায়, তারা সিএসএভি টিনডাল নামে কোনো জাহাজের মালিক বা ব্যবস্থাপক নয়।

রেফিনিটিভ এইকনের শিপ-ট্র্যাকিং ডাটা থেকে দেখা গেছে, লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ সিএসএভি টিনডাল সর্বশেষ জেদ্দার বন্দরে ভিড়েছিল, এখন এটি দুবাই উপকূলে আছে।

জাহাজটিতে হামলার প্রসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের এক মুখপাত্রের মন্তব্য চাওয়া হলেও তার কাছ থেকে সাড়া মেলেনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

সিএসএভি টিনডালে হামলা নিয়ে আল মায়িদানের বরাতে ইরানি গণমাধ্যমে বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এপ্রিলে একটি ইসরায়েলি কোম্পানির মালিকানাধীন বাণিজ্যিক নৌযানে হামলার খবর দেওয়া প্রথম সংবাদ মাধ্যমগুলোর মধ্যেও আল মায়িদান ছিল।

জুনের প্রথমভাগে ওমান উপসাগরে আগুন ধরে যাওয়ার পর ইরানের একটি বড় জাহাজ ডুবে যায়; সেটিই ছিল মধ্যপ্রাচ্যের স্পর্শকাতর জলসীমায় সর্বশেষ উত্তেজনাকর ঘটনা।

এই জলসীমায় নিজেদের নৌযানের ওপর হামলা নিয়ে দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েল ও ইরান প্রায়ই একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।