ফাস্ট ফুড থেকে ফ্লাইট- মিলছে আকর্ষনীয় মূল্যছাড়।
ভারতে ভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় কয়েক সপ্তাহের লকডাউন শেষে অর্থনীতিও ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে- এমন প্রেক্ষাপটেই এই আয়োজন।
পশ্চিমা দেশগুলোতেও এ ধরনের মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা-সুযোগ দেওয়া হচ্ছে মূলত টিকার বিষয়ে অস্বস্তিতে থাকা নাগরিকদের উৎসাহিত করার জন্য।
তবে ভারতে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে টিকার যোগান যেহেতু খুবই অপ্রতুল, সেকানে এ ধরনের ছাড় সম্ভবত বেশি গ্রাহক আকৃষ্ট করা ছাড়া খুব একটা কাজে আসবে না।
ভারতের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারগ্লোবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, “জনগণকে টিকা নিতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অবদান রাখতে পারাকে আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।”
বুধবার ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে জানানো হয় টিকা পাওয়া গ্রাহকরা, এমনকি যারা এক ডোজ টিকা পেয়েছেন তারাও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন।
ম্যাকডোনাল্ডসের ভারতীয় অংশ ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে খাবারে, সফটব্যাংকের তহবিল প্রাপ্ত সুপারশপ গ্রোফারস তাদের লয়ালটি কর্মসূচিতে এক মাসের গ্রাহক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান গোদরেজ তাদের সামগ্রীর নিশ্চয়তার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
যারা অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতে সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে।
এসব সুবিধা ও মূল্যছাড় পেতে গ্রাহকদেরকে তাদের টিকা প্রাপ্তির সরকারি সনদ দেখাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরেই সবচেয়ে বেশি জনগণকে টিকা দিয়েছে ভারত, যার পরিমাণ ২৯ কোটি ১০ লাখ জন। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য সেদেশে টিকা পাওয়ার যোগ্য ৯৫ কোটি জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পুরো দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।
অগাস্টের আগে ভারতে টিকার সরবরাহ উন্নতির আশা নেই বলে জানিয়েছে রয়টার্স।