একইসঙ্গে মহামারীর কারণে দেশটির অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টাও আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের মত সেখানেও গত দেড় বছর ধরে পর্যটন প্রায় বন্ধ বলা চলে।
থাইল্যান্ডের ১৩০টির বেশি কারখানায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব কারখানার বেশ কয়েকটিতে আন্তর্জাতিক নানা ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি হয়।
থাইল্যান্ডে প্রায় ৬৩ হাজার কারখানা রয়েছে। যেগুলোতে তিন কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
‘ফেডারেশন অব থাই ইন্ডাসট্রিস’এর ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, যেসব রপ্তানি পণ্যের কারখানায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, রাবারের তৈরি পণ্য এবং খাদ্য পণ্য রয়েছে।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তা এত তাড়াতাড়ি অনুমান করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
“কারখানাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই কারখানায় কর্মরতদের সম্পূর্ণরূপে টিকার আওতায় আনতে হবে,”বলেন তিনি।
থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯৯ হাজার ২৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১,৪৬৬ জন। এপ্রিলের পর থেকে নতুন করে যারা ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের ৮০ শতাংশই কারখানায় কাজ করেন। এপ্রিলের পর মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশও তারাই।
ছয় কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের দেশ থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত মাত্র এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।