কাবুলে দুই বাসে বোমা হামলায় নিহত ৭

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুটি বাসে বোমা হামলায় অন্তত সাত জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2021, 03:02 PM
Updated : 12 June 2021, 03:02 PM

শনিবার কাবুলের পশ্চিম অংশে সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। চলতি মাসের প্রথমদিকেও ওই এলাকায় একই ধরনের হামলায় ১২ বেসামরিক নিহত হয়েছিল। 

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র বসির মুজাহিদ জানিয়েছেন, এ দুই হামলায় আরও ছয় জন আহত হয়েছেন।

কারা এসব হামলা চালিয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিভিন্ন সময় এই হাজারা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অনেকবার হামলা চালিয়েছে।

মে মাসে কাবুলে হাজারাদের এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ভয়াবহ এক হামলায় প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছিল, তাদের অধিকাংশই স্কুলটির ছাত্রী। এ পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে সব বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যে তৎপরতা চলছে, তার মধ্যেই দেশটিজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। আফগানিস্তান সরকার ও তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি করার উদ্যোগও অনেকটা শ্লথ হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আফগান যুদ্ধ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত এ শান্তি আলোচনাকে স্থবির করে দিয়েছে আর এর জেরেই আফগানিস্তানজুড়ে ধারাবাহিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আফগানিস্তান একটি সর্বব্যাপী গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তালেবান ফের ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি সৈন্যরা আফগানিস্তান ছাড়ার পর কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের সেনা মোতায়েন করে সেটি পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছিল তুরস্ক, কিন্তু তালেবান মুখপাত্র বৃহস্পতিবার তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তালেবানের এমন অবস্থানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যদি লড়াইয়ের কারণে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের রাজধানী হুমকির মুখে পড়ে তাহলে কাবুলে মিশন থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের কীভাবে সরিয়ে আনবে।

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে গত মাসে অস্ট্রেলিয়া তাদের কাবুল দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সেখানে যু্ক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন।   

আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে সেখানে একটি ‘সচল, নিরাপদ’ বিমানবন্দর থাকা দরকার বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধারণা, ক্ষমতা দখল করলে তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করবে এবং তাদের একঘরে অবস্থান পাল্টানোরও চেষ্টা করবে।

আগামী সোমবার ব্রাসেলসে বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।