চীনকে টেক্কা দিতে জি৭ এর নতুন পরিকল্পনা

চীনকে টেক্কা দিতে এবার তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) বিকল্প হিসেবে একটি বৈশ্বিক অবকাঠামো পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি৭।

>>রয়টার্স
Published : 12 June 2021, 11:43 AM
Updated : 12 June 2021, 11:43 AM

নতুন ওই পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা হবে। শনিবার জি-৭ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।

গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতি ও সামরিক খাত উভয় ক্ষেত্রে চীন আগ্রাসী গতিতে এগিয়ে চলছে। জি৭ জোট চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আগ্রাসনের সুসংহত জবাব দেওয়ার একটা পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশে ‍অনিচ্ছুক মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘চীনে জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করার’ বিরুদ্ধেও শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র জি৭ ভুক্ত বাকি দেশগুলোকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধু চীনকে মোকাবেলা করা বা চীনকে টেক্কা দেওয়ার বিষয় নয়।

‘‘বরং আমরা এখনো এমন কোনো ইতিবাচক বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারিনি যেটা আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের অবস্থান এবং আমরা কিভাবে ব্যবসা করি তাকে প্রতিফলিত করবে।”

২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি তার লাখো কোটি ডলারের অবকাঠামো প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ঘোষণা করেন। এটি একটি উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ উদ্যোগ যেটা এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ ছাড়িয়ে আরো বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিআরআই প্রকল্পের আওতায় চীন নানা দেশের রেলপথ, বন্দর, মহাসড়ক এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে সহায়তা করবে। বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ চীনের এই সহায়তা প্রকল্পে সই করেছে।

সমালোচকদের বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট শির বিআরআই প্রকল্প আদতে চীনের প্রাচীন ‘সিল্ক রোড’ বাণিজ্য পথ প্রকল্পের আধুনিক ভার্সন। যার মাধ্যমে চীন এশিয়া, ইউরোপ এবং আরো বহুদূরকে সংযুক্ত করে বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ট ধারণাকে ছড়িয়ে দিতে পারে।

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি৭ সম্মেলন শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

জনসন ছাড়াও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ,  জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।