শুক্রবার রাতে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নাইজেরীয় পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে হামলাকারীরা একটি তল্লাশি চৌকি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে, এরপর তারা গাড়ি চালিয়ে গিয়ে দুটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের পাল্টা গুলিতে দুই হামলাকারী নিহত হয় ও অপর কয়েকজন আহত হয়, কিন্তু তারা একটি চোরাই গাড়িতে করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রিভার্স রাজ্যে নাজুক হতে থাকা নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে হত্যার এ ঘটনা ঘটল বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই রাজ্যটির রাজধানী পোর্ট হারকোর্ট আফ্রিকার বৃহত্তম অপরিশোধিত খনিজ তেল রপ্তানিকারী দেশ নাইজেরিয়ার তেল সমৃদ্ধ বদ্বীপ অঞ্চল ও অন্যান্য অংশের প্রধান প্রবেশদ্বার।
পুলিশ, কাস্টমস, বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সৈন্যদের হত্যা বন্ধ করার চেষ্টায় গত মাসে রিভার্স রাজ্য রাতে তাদের সীমান্ত পার হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র এননামদি ওমোনি জানিয়েছেন, শুক্রবার ১৯৩০ জিএমটিতে দুটি টয়োটা হিলাক্স ভ্যানে করে সশস্ত্র ব্যক্তিরা এসে চোবা সেতুর তল্লাশি চৌকিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
এরপর বন্দুকধারীরা রুমুজি পুলিশ স্টেশনে আরও দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে ও পুলিশের একটি টহল গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়; এখানে পুলিশের পাল্টা গুলিতে দুই হামলাকারী নিহত হয়।
বাকি হামলাকারীরা এখান থেকে এলিমবু পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে, এখানে পুলিশের পাল্টা গুলির মুখে তারা পালিয়ে যায় বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
হামলাকারীরা ‘কমবেশি বন্দুকের গুলিতে আহত অবস্থায়’ একটি চোরাই গাড়িতে করে পালিয়ে যায়, জানিয়েছেন ওমোনি।
হামলাকারীরা পুলিশের পাঁচটি অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে গেছে আর তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাইজেরিয়াজুড়ে বাড়তে থাকা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশটির পার্লামেন্ট গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জরুরি অবস্থা জারির জন্য বুহারির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দস্যুরা ৭০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্কুলগুলো থেকে অপরহরণ করে নিয়ে গেছে, উত্তরপূর্বে জঙ্গিরা বহু সৈন্য ও বেসামরিককে হত্যা করেছে আর পুরো নাইজেরিয়াজুড়েই অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধ বেড়ে গেছে।