বাইডেনের বিরুদ্ধে 'বৈরী নীতি' অনুসরণের অভিযোগ উ. কোরিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন পিয়ংইয়ং এবং এর পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে ‘বৈরী নীতি’ অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। এই নীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর পরিস্থিতির মুখে পড়বে বলেও উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2021, 02:58 PM
Updated : 2 May 2021, 02:58 PM

রোববার কয়েকদফা বিবৃতির মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তাদের মিত্রদের আক্রমণ করে কথা বলেছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে ‘হুমকি’ হিসাবে উল্লেখ করে ‘বড় ধরনের ভুল করেছেন’ বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, ওয়াশিংটন থেকে সম্প্রতি এইসব মন্তব্যই তাদের বৈরি নীতির প্রমাণ দিচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের এমন সব মন্তব্যের সমুচিত জবাব উত্তর কোরিয়ার দেওয়া চাই।

উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে দেশটির কেসিএনএ সংবাদ সংস্থায়। মার্কিন কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়া নীতি পর্যালোচনা করে এর চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেছেন বলে শুক্রবার হোয়াইট হাউজ জানানোর পর পিয়ংইয়ং বিবৃতিগুলো প্রকাশ করল।

বাইডেন উত্তর কোরিয়া নীতিতে আগের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাগুলো থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে বাইডেন উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, “তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আমেরিকা এবং বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।”

এরপরই এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা অভিযোগ তুলে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বড় ধরনের ভুল করেছেন। তিনি যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি বৈরি নীতিই অনুসরণ করতে চান তা তার বক্তব্যে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে।”

“আমরা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র সময় এলেই দেখতে পাবে যে তারা গুরুতর পরিস্থিতিতে পড়েছে।”

উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মর্যাদাকে অপমান করছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনাও একটি উস্কানি, এরকম উস্কানি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পুরোদস্তুর সংঘাতের পথেই এগুচ্ছে। এর জবাবও ঠিকমতই দেওয়া হবে।