২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন অর্ধেক কমানোর প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন অর্ধেক (৫০-৫২ শতাংশ) কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 22 April 2021, 01:21 PM
Updated : 22 April 2021, 01:21 PM

বৃহস্পতিবার বাইডেন তার আয়োজিত দুইদিনের জলবায়ু বিষয়ক ভার্চুয়াল সম্মেলনের শুরুতে এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন।

নতুন এই লক্ষ্যমাত্রা বিশ্বে বেশি কার্বন নিগর্মনকারী অন্যান্য দেশগুলোকেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিতে উৎসাহিত করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কার্বন নির্গমন কমানোর আন্তর্জাতিক চেষ্টা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক খাতকেও কার্বনমুক্ত করার বৃহত্তর পরিকল্পনা আছে বাইডেনের। সেদিক থেকেও তার ঘোষিত নতুন লক্ষ্যমাত্রা একটি মাইলফলক।

বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ ৪০ জন নেতা। সম্মেলনের উদ্বধোনী বক্তব্যে বাইডেন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আর বসে নেই। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

এবছরের শেষে গ্লাসগোতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। বাইডেন বলেন, “গ্লাসগোর সম্মেলন এবং এখনকার সম্মেলনের মাঝে দেশগুলো যে পদক্ষেপ নেবে তা আমাদের বিশ্বকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে।” এখন অপার সম্ভাবনার সময় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জালবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবার সামনের সারিতে ফিরে আসার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

একইসঙ্গে বাইডেন গ্রিনহাউজ গ্যাস অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাও গেম-চেঞ্জিং বলে প্রশংসা করেছেন তিনি। জনসন বলেন, “যুক্তরাজ্যও একই কাজ করছে। আর বিশ্বজুড়েই আমরা একযোগে এ কাজ করে যেতে পারি।”

সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, “আমাদেরকে মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সখ্য রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতেই হবে।”

চীন এর আগে ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির পথে হাঁটার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেকথাই সম্মেলনে আবার বলেন শি। চীন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছে বলেও জানান তিনি।