ষষ্ঠবার নির্বাচিত শাদের প্রেসিডেন্ট ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ নিহত

শাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি ষষ্ঠবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরদিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 12:03 PM
Updated : 20 April 2021, 08:54 PM

দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, শাদের উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৈন্যদের দেখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি নিহত হন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ৬৮ বছর বয়সী ইদ্রিস দেবি ছিলেন সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আফ্রিকান নেতাদের অন্যতম। ১৯৯০ সালে এক বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন।

দেবির মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার ছেলে মাহামাত কাকার নাম ঘোষণা করেছে সামরিক কর্মকর্তাদের ট্রান্সিশনাল কাউন্সিল। রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রচারে একথা জানিয়েছেন মুখপাত্র আজেম বার্মেন্দাও।

তিনি বলেন, শাদের জনগণকে শান্তি, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সব পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ট্রানজিশন।

দেবির ছেলে ৩৭ বছর বয়সী চার-তারকা জেনারেল মাহামাতের নেতৃত্বে এই সামরিক কাউন্সিল আগামী ১৮ মাসের জন্য দেশ শাসন করবে।

মঙ্গলবার শাদের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, মাহামাত কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে অন্তর্বর্তী সময় শেষ হওয়ার পরই অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হবে।

শাদের আর্মি জেনারেল এদিন রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন, “দেবি সার্বভৌম জাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে যুদ্ধের ময়দানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।”

৭৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মত শাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন দেবি। সোমবার তার পুনঃনির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছিল।

সহিংসতামুক্ত এবং সুরক্ষিত দেশ গড়ার অঙ্গিকারে এবার নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। যদিও বেশির ভাগ বিরোধী দল এবারের ভোট বয়কট করেছিল।

বিবিসি জানায়, এরই মধ্যে শাদের সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্তও।

ফ্রান্স এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলির দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন দেবি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ‍জানায়, বিশেষ করে আফ্রিকায় জঙ্গিদল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট দেবি ছিলেন তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

কিন্তু দেবি সরকারের তেলসম্পদ পরিচালনা নিয়ে শাদে অনকেদিন ধরেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। ২০১৮ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত নিজের ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করেছিলেন দেবি।