কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান গোপন বৈঠক

বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলকে ঘিরে সামরিক উত্তেজনা প্রশমনের নতুন প্রচেষ্টায় চলতি বছর জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে বৈঠক করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2021, 01:23 PM
Updated : 15 April 2021, 01:23 PM

বৈঠক সংশ্লিষ্টরা দিল্লিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছেন।

তারা জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মধ্যস্থতায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস উইং এবং পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের কর্মকর্তারা দুবাইয়ে এই বৈঠক করেন।

২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ওই বছরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় ক্ষুব্ধ হয় পাকিস্তান।

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, স্থগিত হয়ে যায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য। কিন্তু দু’দেশের সরকার নতুন করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কয়েক মাস থেকে পর্দার আড়ালে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বৈঠক সংশ্লিষ্টরা।

 তবে শীর্ষ গোয়েন্দাদের গোপন বৈঠকের ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কোনও মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক শীর্ষ বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, তার ধারণা কয়েক মাস ধরেই তৃতীয় কোনও দেশে গোপনে বৈঠক করে আসছেন ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন বৈঠক হয়েছে থাইল্যান্ডে, দুবাই অথবা লন্ডনে।”

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এমন বৈঠক এর আগেও হয়েছে। বিশেষ করে যখন কোনও সঙ্কট সৃষ্টি হয় তখন এ ধরনের বৈঠক হয়। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয় না।

রয়টার্সের সাবেক সাংবাদিক মিরা ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা না হওয়ার চেয়ে বরং আলোচনা হওয়াই ভাল। আর তা লোকচক্ষুর আড়ালে হলে আরও ভাল।”

জানুয়ারির গোপন বৈঠকের পর পাকিস্তান ও ভারত ঘোষণা দিয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় তারা গোলাগুলি বন্ধ করবে। এই নিয়ন্ত্রণ রেখায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে, অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সেখানে অস্ত্রবিরতি বহাল আছে বলে জানিয়েছেন দু’দেশেরই সামরিক কর্মকর্তারা।

 সেইসঙ্গে এ বছর কাশ্মীর অঞ্চলে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টায় ভারত ও পাকিস্তান তাদের নিজ নিজ অংশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনারও ইঙ্গিত দিয়েছে।