অস্ট্রেলিয়াজুড়ে টিকাদান কর্মসূচীর ওপর জনগণের আস্থা বাড়ানোর লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়া রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হচ্ছে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ৬০ হাজার ডোজ দেওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেনসহ কয়েকটি শহরে কয়েক হাজার লোক টিকাদান কর্মসূচী বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
রোববার ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য কর্মী ও কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের ছোট একটি দলের সঙ্গে টিকা নেন মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নার্স প্রফেসর অ্যালিসন ম্যাকমিলান ও প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রফেসর পল ক্যালিও এ দলের অংশ ছিলেন।
দেশটির প্রথম টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলেন ৮৫ বছর বয়সী জেন মালিসিয়াক।
অস্ট্রেলিয়ায় ফাইজারের করোনাভাইরাস টিকা ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচীতে এই টিকাই ব্যবহার করা হবে।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি অস্ট্রেলিয়ার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত করোনভাইরাস টিকারও শর্তাধীন অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে আগামী মাস থেকে এই টিকা সরবরাহ শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানিয়েছেন, আসছে সপ্তাহগুলোতে তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি নেবেন।
উভয় টিকাই ব্যাপক নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে এগুলোর ব্যবহারও শুরু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাত, সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী ও কেয়ার হোমগুলোর ফ্রন্টলাইলে থাকা সাত লাখ কর্মীর সঙ্গে কেয়ার হোমগুলোতে বসবাসকারীদের টিকা দেওয়া হবে।
মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯২০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে আর এদের মধ্যে ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।