মিয়ানমারে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় হাজারো প্রতিবাদকারী

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির আটকাদেশের বিরুদ্ধে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে দ্বিতীয় দিনের মতো হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে মিছিল করছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2021, 05:29 AM
Updated : 7 Feb 2021, 06:05 AM

রোববার ইয়াঙ্গনের প্রতিবাদকারীরা লাল বেলুন নিয়ে নেমেছেন, এই রঙটি সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টির (এনএলডি) প্রতিনিধিত্ব করে এবং তারা ‘আমরা সামরিক স্বৈরাচার চাই না! আমরা গণতন্ত্র চাই!’ শ্লোগান দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাস্তার মাঝখান দিয়ে এনএলডির পতাকা দুলিয়ে ‘থ্রি-ফিগার’ স্যালুট দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছেন তারা। এই ‘থ্রি-ফিগার’ স্যালুট একটি অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতীক হয়ে উঠেছে। গাড়ির চালকরা হর্ন বাজাচ্ছেন ও যাত্রীরা সু চির ছবি উঁচু করে ধরে আছেন।

শনিবার দেশটির সামরিক জান্তা ইন্টারনেট বন্ধ করে ফোন লাইলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পরও এসব দৃশ্য ফেইসবুকে সম্প্রচারিত হয়েছে। এ রকম অল্প কিছু দৃশ্যই দেশটির বাইরে এসেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রতিশোধের শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ১০ বন্ধু নিয়ে মিছিলে যোগ দেওয়া ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ বলেন, “আমরা অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারি না। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।”  

নিজের পরিবার নিয়ে মিছিলে যোগ দেওয়া ত্রিশোর্ধ এক নারী জানান, আগের দিনের প্রতিবাদে তারা যোগ দেননি, কিন্তু আর ভয় না পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

“আমাদের জনগণের সঙ্গে যোগ দিতে হবে, আমরা গণতন্ত্র চাই,” বলেন তিনি।

সকালের মাঝামাঝিতে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাওলামাইনে মোটরসাইকেলে করে প্রায় ১০০ লোক রাস্তায় নেমে আসে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা কেন্দ্রস্থলে জড়ো হচ্ছেন।

দক্ষিণপূর্বের আরেকটি শহর কারেন রাজ্যের পায়াথোনজুতে কয়েকশ লোক সারারাত একটি পুলিশ স্টেশনের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিল। সকাল হওয়ার পরও তারা সেখানে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রপন্থি গান গাইছিল।

গত সোমবার ভোরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নতুন একটি সামরিক সরকার গঠন করে। তারপর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবাদ শুরু হলেও শনিবার দেশজুড়ে লাখো মানুষ সামরিক জান্তা বিরোধী প্রতিবাদে নেমে তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।