কোভিড: অভিষেকের আগে ৪ লাখ আমেরিকানকে স্মরণ বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় জো বাইডেন অংশ নিলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া চার লাখ মার্কিন নাগরিকের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।

>>রয়টার্স
Published : 20 Jan 2021, 04:56 AM
Updated : 20 Jan 2021, 07:52 AM

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মৃত্যুর ১১ মাসর মাথায় মঙ্গলবার সেখানে মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। 

তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে এই স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠান যখন শুরু হল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আর কয়েক ঘণ্টা তখন বাকি। 

মহামারীর মধ্যে নজিরবিহীন জনস্বাস্থ্য সঙ্কটে জর্জরিত, অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত এবং রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত একটি রাষ্ট্রকে তিনি দিয়ে যাচ্ছেন বাইডেনের পরবর্তী প্রশাসনের হাতে।

বাইডেন ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নেতৃত্বে লিংকন মেমোরিয়ালের পাদদেশে এই স্মরণ অনুষ্ঠানই ছিল করোনাভাইরাসে প্রাণ হারানো বিপুল এই জনগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের প্রথম কোনো অনুষ্ঠান।

রাজধানীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে একইভাবে স্মরণ করা হয় মহামারীতে হারিয়ে যাওয়া সেইসব আমেরিকানদের। 

স্মরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করে বাইডেন বলেন, “এই ক্ষত শুকাতে হলে আমাদের স্মরণ করতে হবে। বেদনার এই স্মরণ কখনও কখনও খুব কঠিন। কিন্তু এভাবেই আমরা সেরে উঠি। একটি জাতি হিসেবে তাদের স্মরণ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” 

বাইডেন যখন কথা বলছিলেন, লিংকন মেমোরিয়ালের লেকের ধারে ৪০০ বাতি তখন জ্বলছিল চার লাখ নাগরিকের স্মরণে।

এরপর গসপেল গায়ক ইয়োলান্ডা অ্যাডামস গেয়ে শোনান ‘হালেলুইয়া’। তারপর কিছু সময় নীরবতা।

বাইডেন বক্তৃতা দিতে আসার আগে মিশিগানের একটি হাসপাতালের নার্স লরি মারি কে গেয়ে শোনান ‘অ্যামেইজিং গ্রেস’। আর বাইডেনের বক্তৃতা শেষে চার মাইল দূরে ন্যাশনাল ক্যাথাড্রালের ঘণ্টা বেজে ওঠে ৪০০ বার। 

লরি মারি কের গানের আগে কমলা হ্যারিস তার বক্তৃতায় বলেন, “মৃত্যু তাদের শারীরিকভাবে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে হয়ত, কিন্তু চেতনায়, আমরা, এই আমেরিকানরা, সবাই এক জায়গাতেই আছি।

“আমার প্রার্থনা এটুকুই, এই সঙ্কট আমরা কাটিয়ে উঠব নতুন শিক্ষা নিয়ে, সেই শিক্ষা হবে ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকেও মূল্য দেওয়া, নতুন সম্ভাবনার কথা ভাবতে শেখা, আর আমাদের হৃদয় একে অপরের জন্য আরও একটু উন্মুক্ত করা।”