সরকারকে ‘পঙ্গু’ ও ‘উৎখাতের’ পরিকল্পনা করার মাধ্যমে তারা নতুন নিরাপত্তা আইন লংঘন করেছে, এমন সন্দেহে এই গ্রেপ্তার বলে জানিয়েছেন তিনি।
বেইজিং গত বছর সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর বুধবারের এ গ্রেপ্তার কাণ্ডকেই হংকংয়ের সরকারবিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে বড় ধরপাকড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিরাপত্তা মন্ত্রী লি বলেছেন, গ্রেপ্তাররা সমাজের ‘মারাত্মক ক্ষতি’ করার পরিকল্পনা করেছিল, কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বরদাশত করবে না।
রয়টার্স বলছে, পুলিশের এ গ্রেপ্তার অভিযানের লক্ষ্য ছিল হংকংয়ের সুপরিচিত গণতন্ত্রপন্থি নেতাকর্মীরা। এরা আইনসভার নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী ঠিক করতে গত বছরের জুলাইয়ে অনুমোদনহীন ও স্বতন্ত্র ভোটের আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
হংকংয়ের ওই আইনসভার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
এ দিন পুলিশ একটি জরিপকারী সংস্থা, একটি ল ফার্ম এবং সংবাদমাধ্যম অ্যাপল ডেইলি, স্ট্যান্ড নিউজ ও ইনমিডিয়াএইচকের কার্যালয়য়েও হানা দেয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
গণতন্ত্রপন্থি কয়েক ডজন কর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে নগরীটির ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মী ও অন্যদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে।
গত বছর হংকংয়ের সরকার ও বেইজিং ওই অনুমোদনহীন ভোটের ব্যাপারে গণতন্ত্রপন্থিদের সতর্ক করেছিল। বলেছিল, এ ধরনের কর্মকাণ্ড নতুন নিরাপত্তা আইনের লংঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বুধবারের গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে পুলিশও ওই অভিযোগের কথাই উল্লেখ করেছে বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির ফেইসবুক পেইজ ও গ্রেপ্তারদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, হংকংয়ের পুলিশ যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে সাবেক আইনজীবী, অধিকারকর্মী এবং জেমস টো, লাম চিউক-টিং, বেনি তাই ও লেস্টের শামের মতো ২০২০ সালের প্রাইমারি ভোট আয়োজনে জড়িতরাও রয়েছেন।
গত বছর আইনসভার যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণতন্ত্রপন্থিরা অনুমোদনহীন ওই প্রাইমারির আয়োজন করেছিল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরের ওই আইনসভার নির্বাচন স্থগিত করে দেয়।
গণতন্ত্রপন্থিদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আটকের কারণে সামনে কোনো নির্বাচন হলে বিরোধী দলের পক্ষে কারা তাতে অংশ নেবে তা নিয়েই এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।