তিগ্রাইয়ে ত্রাণ পৌঁছাতে জাতিসংঘ-ইথিওপিয়া চুক্তি

ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় তিগ্রাইয়ে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথ সৃষ্টিতে একমত হয়েছে দেশটির সরকার ও জাতিসংঘ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2020, 11:47 AM
Updated : 4 Dec 2020, 06:47 AM

আফ্রিকার এ দেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তরে গত এক মাসের লড়াইয়ে সৈন্য ও বেসামরিক মিলিয়ে এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর এ তুমুল লড়াই লাখো মানুষকে বাস্তুচ্যুতও করেছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কেবল ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতেই ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেল্লেও এখন ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ সংঘাত দেশটির ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে সুদানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে; তিগ্রাইয়ের ভেতরেও অনেকে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছেন।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতের আগেই অঞ্চলটির প্রায় ৬ লাখ মানুষ খাদ্য সাহায্যের উপর নির্ভরশীল ছিল।

দুইপক্ষের তুমুল লড়াইয়ের কারণে ওই এলাকা থেকে কয়েকশ বিদেশি কর্মী পালিয়ে যাওয়ার পর দাতা সংস্থাগুলো এলাকাটিতে নিরাপদ প্রবেশাধিকারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল।

গত মাসে তিগ্রাইয়ে ইরিত্রিয়ান শরণার্থীদের জন্য বানানো শিবিরে ২ বিদেশি সংস্থার চার কর্মীকে হত্যাও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সূত্র।

কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী কিংবা টিপিএলএফের কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। 

তিগ্রাইয়ের বাসিন্দাদের পাশাপাশি সংঘাতের জেরে অঞ্চলটিতে বসবাসরত ৯৬ হাজার ইরিত্রিয়ান শরণার্থীও শিগগিরই ব্যাপক খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মেকেল্লের চিকিৎসকদেরকে ব্যাথানাশক ওষুধ, গ্লাভস ও মৃতদেহ রাখার ব্যাগের ঘাটতিও মোকাবেলা করতে হচ্ছে, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি।

ইথিওপিয়ার সরকারের মুথপাত্র রেদওয়ান হুসেইন তিগ্রাইয়ে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।