তিগ্রাইয়ের রাজধানীর ‘নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার দাবি ইথিওপিয়ার

তিগ্রাই অঞ্চলের রাজধানী মেকেল্লের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার দাবি করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 06:22 PM
Updated : 28 Nov 2020, 06:22 PM

শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেন, “মেকেল্লে শহর এখন কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।”

এরপর দেশটির সামরিক বাহিনীর দাপ্তরিক ফেইসবুক পেইজে দেওয়া বিবৃতিতে একই কথা বলেন বাহিনীটির চিফ অব স্টাফ বিরহানু জুলা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সরকারি বাহিনীগুলো ওই অঞ্চলে অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং পাঁচ লাখ বাসিন্দার শহর মেকেল্লের বেসামরিকদের রক্ষায় যত্ন নেবে। 

তাৎক্ষণিকভাবে তিগ্রাইয়ের বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এই বাহিনীগুলো দেশটির সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছিল।

৪ নভেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে তিগ্রাই অঞ্চলটির টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন থাকায় ও সেখানে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব পক্ষের দাবিগুলো যাচাই করা কঠিন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

শনিবার সকালে মেকেল্লের বাসিন্দাদের ও তিগ্রাইয়ের বাহিনীগুলোর নেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকা এক কূটনীতিক জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আক্রমণ শুরু করেছে।

তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) কে অস্ত্র নামিয়ে রাখার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ইথিওপিয়ার সরকার, অন্যথায় মেকেল্লেতে আক্রমণ চালানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল তারা।

লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লোকের মৃত্যুর হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অঞ্চলটির প্রায় ৪৩ হাজার বাসিন্দা প্রতিবেশী সুদানে পালিয়ে গেছেন।

তিগ্রাইয়ের একটি ঘাঁটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সৈন্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তিগ্রাইয়ের নেতারা এই যুদ্ধ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবির। অপরদিকে টিপিএলএফ বলেছে, সরকারি বাহিনীর হুমকি প্রতিরোধে আগাম ওই হামলাটি চালানো হয়েছিল।