তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানকে উৎখাতের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রায় ৫শ’ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ছিলেন বিমান বাহিনীর পাইলটরাসহ সেনা কমান্ডাররাও।
আঙ্কারার কাছে আকিঞ্চি বিমানঘাঁটি থেকে তারা ওই অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এরদোয়ানের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মুসলিম ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ছিলেন এই অভ্যুত্থানের মূল হোতা।
তবে গুলেন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। চার বছর আগের ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় ২৫১ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
এরদোয়ান সেসময় অবকাশযাপন কেন্দ্রে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। অভ্যুত্থান বিফল হওয়ার পর দেশজুড়ে গণহারে মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষক ও বিচারপতিসহ এক লাখের বেশি সরকারি কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয় গুলেনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগে।
এরদোয়ানকে হত্যার চেষ্টা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কব্জা করার অভিসন্ধির অভিযোগে মামলার বিচার শুরু হয় ২০১৭ সালে।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের আদালত ৩৩৭ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে।
বিবিসি জানায়, অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক এক সেনা কমান্ডারসহ আঙ্কারার বিভিন্ন স্থানে বোমা বর্ষণের অভিযোগে জঙ্গিবিমান এফ-১৬’র ২৫ পাইলটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও ১০ জনের বেশি সেনা কর্মকর্তা ও এফ-১৬ পাইলটসহ চার বেসামরিক নাগরিকের প্রত্যেককে ৭৯ বছরের প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া, অভ্যুত্থানে সমন্বয়কের ভূমিকা থাকার অভিযোগে ফেতুল্লাহ গুলেন এবং এক প্রযুক্তি অধ্যাপকসহ ৬ জনকে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হয়েছে।
গুলেনের নেতৃত্বাধীন হিজমেত আন্দোলনকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তকমা দিয়েছেন।
গুলেন একসময় এরদোয়ানের মিত্র ছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় থেকেই ৭৯ বছর বয়স্ক এই ধর্মীয় নেতা পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেইনিয়ায় আছেন। তুরস্ক সরকার তার প্রত্যপর্ণ চাইছে।