আফগানিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ১৪

আফগানিস্তানের বামিয়ানে জোড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে প্রদেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2020, 08:07 AM
Updated : 25 Nov 2020, 09:13 AM

সুইজারল্যান্ডে দাতা দেশগুলোর এক সম্মেলনে আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের বিপুল অর্থ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির মধ্যেই মঙ্গলবার বামিয়ানে এ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মধ্যাঞ্চলীয় এ প্রদেশটির পুলিশ প্রধান জবরদস্ত সাফাই জানান, বামিয়ান শহরের প্রধান একটি বাজারের রাস্তার ধারে বোমা দুটি লুকিয়ে রাখা ছিল। ওই বোমাগুলোর বিস্ফোরণেই ১২ জন বেসামরিক নাগরিক ও ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য নিহত হন।

আহত ৪৫ জনের বেশিরভাগই বিস্ফোরণের সময় কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁ ও আশপাশের দোকানগুলোতে ছিলেন, জানিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও তালেবানদের মধ্যে সম্প্রতি শুরু হওয়া আলোচনার পথ ধরে দুই দশকের যুদ্ধ শেষ হবে এ আশায় মঙ্গলবার জেনিভায় এক দাতা সম্মেলনে কয়েক ডজন দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য হাজার কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বামিয়ানকে খানিকটা নিরাপদ মনে হলেও সন্ত্রাসের থাবা থেকে হাজারা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ প্রদেশও রক্ষা পায়নি। তালেবান শাসনামলে তাদের বিরোধিতা করায় এখানে পশতুনদের গণহত্যার বলি হয়েছে হাজার হাজার আদিবাসী হাজারা।

২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কাবুলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া তালেবানরা জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবারের জোড়া বোমা হামলার জন্য দায়ী নয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তৎপরতাও বাড়ছে। হাজারা জনগোষ্ঠী শিয়া মতাবলম্বী হওয়ায় তারা বিভিন্ন সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী বিশেষ করে আইএসের ধারাবাহিক হামলার শিকার হয়ে আসছে। 

আফগান সরকার ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা চললেও দুইপক্ষের মধ্যে লড়াই এখনও অব্যাহত আছে।

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই দেশটিতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ৬ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।