‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে ওই দাবি করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জব্দ ওই পদার্থ যে আদতে ট্রাইসোডিয়াম ফসফেট তা ল্যাব পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ট্রাইসোডিয়াম ফসফেট সাধারণত দাগ তোলার পাউডারসহ বিভিন্ন ক্লিনিং এজেন্টে ব্যবহৃত হয়।
প্রাথমিক পরীক্ষায় ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির’ কারণে পদার্থটিকে কেটামিন মনে হওয়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দের ওই দাবি করা হয়েছিল বলে থাই আইনমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
চেতনানাশক হিসেবে কেটামিনের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করতে পারায় ‘পার্টি ড্রাগ’ হিসেবেও এর ব্যাপক কদর রয়েছে। এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শরীরের ক্ষতি এমনকী মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে ট্রাইসোডিয়াম ফসফেটকে দাগ তুলতে কাজে লাগানো যায়। কখনও কখনও এটি খাবারেও ব্যবহৃত হয়।
সপ্তাহ দুয়েক আগে, গত ১২ নভেম্বর থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা তাইওয়ানের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে স্থানীয় একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১১টন সাদা পাউডার জব্দ করার কথা জানান।
অভিযানে সাদা পাউডারের মোট ৪৭৫টি ব্যাগ মেলে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“থাইল্যান্ডে জব্দ হওয়া সবচেয়ে বড় মাদকের চালান এটি; খুচরা বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ২৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন বাথ (৯৫ কোটি ডলারের বেশি),” সেসময় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছিলেন থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ওএনসিবি-র মহাসচিব উইচাই চাইমোংখোল।
ল্যাব পরীক্ষায় জব্দ ওই সাদা পাউডার ট্রাইসোডিয়াম ফসফেট হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর সোমসাক জানান, পরীক্ষায় নিশ্চিত না হয়ে তড়িঘড়ি ওই সংবাদ সম্মেলন করা ওএনসিবির উচিত হয়নি।
“এটা যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা আমাদের সংস্থাকে অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে,” সাংবাদিকদের বলেছেন থাই এ আইনমন্ত্রী।