জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে, মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোয় ১০০, ১০৪ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছে।
কিছুদিন আগেই মেক্সিকো কভিড-১৯ সংক্রমণ ১০ লাখ পেরোনোর খবর জানানোর পর এবার মৃত্যু লাখ পেরোনোর এ খবর এল। তবে মহামারীতে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবমতে, কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারতেই করোনাভাইরাসে মেক্সিকোর চেয়ে মৃতের সংখ্যা বেশি।
মেক্সিকোয় করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতির জন্য সমালোচকরা প্রেসিডেন্ট ওব্রাডোরকেই দুষছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের শুরুতে ওব্রাডোর সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপ নিতে অনেক দেরী করেছেন এবং পরে বিধিনিষেধ আরোপ করেও তা দ্রুতই তুলে নিয়েছেন।
মার্চে মহামারী শুরুর সময়ে মেক্সিকো সরকার এক ঘোষণায় বলেছিল, “জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।” ফলে সংক্রমণ রোধে কোনও পদক্ষেপ তখন ওব্রাডোর নেননি।
এরপর মার্চের শেষের দিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকার মুখে ওব্রাডোর মেক্সিকোর নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেও মে মাসে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে সচল করতে তিনি আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেন।