রোববার ‘দ্য ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন’ এ হামলার খবর নিশ্চিত করে দেশটির বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তারা জানায়, বেনিশানগুল-গুমুজ অঞ্চলে হামলার শিকার বাসটি যাত্রীবাহী ছিল। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও ‘একই ধরনের’ হামলার ঘটনা ঘটেছে। লোকজন প্রাণ ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে কমিশনের প্রধান ড্যানিয়েল বেকেলে বলেন, ‘‘সর্বশেষ এ হামলা মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার সর্বশেষ সংযোজন, যা আমরা সবাই মিলে বহন করছি।”
তিনি বেনিশানগুল-গুমুজ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান।
গত সেপ্টেম্বরেও ওই অঞ্চলে স্বশস্ত্র জঙ্গিরা অন্তত ৪৫ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে।
ওদিকে, ইথিওপিয়ার উত্তরের তিগ্রাই রাজ্যে গত ১২ দিন ধরে স্থানীয় বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে।
এই যুদ্ধের মধ্যেই গত শুক্রবার দেশটির আমহারা রাজ্যের দুইটি বিমানবন্দরে রকেট হামলা হয়। তিগ্রাইয়ের ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) ওই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ইথিওপিয়া সরকারের।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি আমহারা রাজ্যের আঞ্চলিক বাহিনীগুলোও তিগ্রাইয়ের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এ লড়াই আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ার অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকী ‘আফ্রিকার শিং’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব আফ্রিকার পুরো অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন।
শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের ১৪ হাজার ৫০০ বাসিন্দা পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।