মালদ্বীপে দূতাবাস খুলবে যুক্তরাষ্ট্র: পম্পেও

মালদ্বীপ সফরে গিয়ে প্রথমবারের মত দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

>>রয়টার্স
Published : 28 Oct 2020, 05:09 PM
Updated : 28 Oct 2020, 05:09 PM

যদিও তিনি বলেছেন, ‘‘দূতাবাস খোলার কাজ রাতারাতি হবে না, তবে দূতাবাস খোলা খুবই জরুরি।”

পাঁচ দিনের এশিয়া সফরে পম্পেও গত সোমবার ভারতে যান। সেখান থেকে বুধবার তিনি প্রথমে শ্রীলঙ্কায় এবং পরে মালদ্বীপ যান।

মূলত এই অঞ্চলে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব মোকাবেলার কৌশল হিসেবে এশিয়ার দেশেগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে পম্পেওর এই সফর।

বুধবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের কাছের একটি রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে পম্পেও বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপের সঙ্গে বেআইনি, আগ্রাসী আচরণ করছে।

বেইজিং অবৈধভাবে ভূমি দখল করছে এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব মোকাবেলায় ভারসাম্য রক্ষার্থে তাই মালদ্বীপে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।

নিজেদের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ মেগা প্রকল্পের অংশ হিসেবে শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সড়ক পরিবহন এবং জ্বালানিখাতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে মূলত ছোট ছোট দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলতে চীন এই প্রকল্প শুরু করেছে।

শ্রীলংকা অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির বর্তমান সরকার চীন ঘনিষ্ঠ। পম্পেওর সফর নিয়ে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।

‘‘শ্রীলঙ্কার কোনও পক্ষে নেই, বরং একটি নিরপেক্ষ দেশ। আমরা শান্তি রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।”

মালদ্বীপ থেকে পম্পেও ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন। চীনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বিবাদ রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে পম্পেও ভিয়েতনাম যাবেন বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।