করোনাভাইরাস: ফ্রান্সে রাত্রিকালীন কারফিউতে জনশূন্য সড়ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় দেওয়ার রাত্রিকালীন কারফিউতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আরও ৮টি শহরের সড়কগুলো জনমানবহীন প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2020, 11:02 AM
Updated : 18 Oct 2020, 11:02 AM

শনিবার থেকে শুরু হওয়া বিতর্কিত এ কারফিউর লক্ষ্য হচ্ছে ইউরোপে এ মুহুর্তে ভাইরাসের অন্যতম হটস্পট ফ্রান্সে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরা।

বসন্তে দুই মাসের লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির রেস্তোরাঁ মালিকরা নতুন এই কারফিউর কড়া সমালোচনা করছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শিগগিরই ইতালিও নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে।

মহামারীর প্রথম ঢেউয়ে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালিতে শনিবার রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করবেন। এতে জিম, পুল ও শিক্ষানবীসদের খেলাধুলার মতো কমপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড নতুন নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়তে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

ফ্রান্সের সরকার রাজধানীসহ ৯টি শহরে যে মাসব্যাপী রাত্রিকালীন কারফিউ দিয়েছে তার আওতায় প্রায় দুই কোটি নাগরিক পড়বেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে থাকতে পারবেন না।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, হাসপাতালগুলোর উপচে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে এই কারফিউ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল।

তবে এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

“অবশ্যই অনেক কর্মী চাকরি হারাবে,” বলেছেন প্যারিসের একটি ইতালিয়ান রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক স্তেফানো আনসেলমো।

শনিবার ফ্রান্সে রেকর্ড ৩২ হাজার ৪২৭ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৬ জন।

আরও পড়ুন: