টিভিতে ভোটারদের মুখোমুখি ট্রাম্প-বাইডেন, করোনাভাইরাস নিয়ে ঝগড়া

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের মাত্র ১৭ দিন আগে সরাসরি বির্তক নয় বরং টিভিতে ‘টাউন হল’ আদলের অনুষ্ঠান সম্প্রচারে ভোটারদের মুখোমুখি হয়েও করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে ঝগড়া করতে দেখা গেছে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক জো বাইডেনকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2020, 03:52 PM
Updated : 16 Oct 2020, 03:52 PM

বাইডেন করোনাভাইরাস সামাল দেওয়ায় ট্রাম্পের খুঁত ধরিয়ে দিয়েছেন। আর ট্রাম্পও নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে তা খন্ডনের চেষ্টা করেছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার গুরুত্ব নিয়েও একে অপরের বিরোধিতা করতে গেছে।

ট্রাম্প-বাইডেনের প্রথম নির্বাচনী বিতর্কও শেষ হয়েছিল মহামারীসহ একাধিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া আর বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্টশিয়াল বিতর্ক অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতায় শেষমেষ তা বাতিল হয়।

অগত্যা ট্রাম্প-বাইডেনের এই ‘টাউন হল’ টিভি অনুষ্ঠানের দিকেই নজর ছিল সবার। বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি আলাদা টিভি চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করেছে।

বিবিসি জানায়, ফ্লোরিডার মিয়ামিতে এনবিসি টিভি নেটওয়ার্ক ট্রাম্পের টাউন হল বৈঠক সম্প্রচার করেছে। অন্যদিকে, ফিলাডেলফিয়ায় এবিসি টিভি নেটওয়ার্কে সম্প্রচার করা হয়েছে বাইডেনের অনুষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস নিয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে দুটি অনুষ্ঠানই।

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা গোপন করার জন্য ট্রাম্পকে দুষেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, “তিনি এর ভয়াবহতার কথা কাউকে বলেননি। কারণ, তার ভয় ছিল যে একথা শুনে আমেরিকানরা আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। আমেরিকানরা ভয় পায় না, ভয় তিনি (ট্রাম্প) পেয়েছিলেন।”

অন্যদিকে, ট্রাম্প করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন, এমনকী হোয়াইট হাউজের সেই বিপজ্জনক অনুষ্ঠান যেটাতে ট্রাম্পের সহযোগীদের অনেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন তার পক্ষেও সাফাই দেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “দেখুন, আমি প্রেসিডেন্ট। আমাকে লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হয়। আমি তো বেজমেন্টে বসে থাকতে পারি না।” উল্টো বাইডেনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাস মাহামারীর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বাইডেন মাসের পর মাস প্রচার থেকে দূরে সরে ছিলেন।

ওদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পক্ষে কথা বলেছেন বাইডেন, আর ট্রাম্প বলেছেন এর বিপক্ষে।

বাইডেনের যুক্তি ছিল, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ায় তার সব সময় মাস্ক পরা উচিত, যাতে সবাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।

কিন্তু করোনাভাইরাস ঠেকাতে মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ আছে, এ নিয়ে নানারকম কথাই শোনা গেছে বলে এর গুরুত্বের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

তবে টিভি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এই প্রথম নির্বাচনে হেরে গেলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টিতে সম্মতিসূচক কথা বলেছেন।

ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর মেনে নেবেন কি-না।’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ মানব। কিন্ত আমি একটি সষ্ঠু নির্বাচন চাই। যেটি সব আমেরিকানই চায়।”