আইনপ্রণেতারা নিয়ম মেনে ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জেনবেকোভ প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে পার্লামেন্টে নতুন করে ভোট করতে বলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত কিরগিজস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও দীর্ঘ করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।
মধ্য এশিয়ার দেশটিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই অস্থিতিশীলতা চলছে।
ফল ঘোষণার পর ভোটে জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ তুলে বিরোধী বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা রাজধানী বিশকেকের প্রধান প্রধান সব সড়ক ও সরকারি ভবনগুলো দখলে নেয়।
তারা নতুন নির্বাচন দেওয়ার পাশাপাশি রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট জিনবেকভের পদত্যাগও দাবি করে।
৪ অক্টোবরের ভোটে জালিয়াতির অভিযোগকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিহিত করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক এ অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পর ওই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছিল।
শনিবার কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাপারভের নাম ঘোষণা করলেও মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জিনবেকভ ওই মনোনয়নে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান।
প্রাদেশিক এক গভর্নরকে জিম্মি করে রাখার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত জাপারভকে গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা জেলখানা থেকে মুক্ত করেছিল।
“দেশের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ও আরও শক্তিশালী করতে আমাদের সব সিদ্ধান্তই বৈধ ও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে,” জাপারভকে প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া বিবৃতিতে জিনবেকভ এমনটাই বলেছেন।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এক উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে জিনবেকভ নতুন প্রধানমন্ত্রীকে মেনে নিতে অস্বীকারের কথা জানান। রুশ প্রেসিডেন্টের ওই উপদেষ্টা একইদিন জাপারভের সঙ্গেও বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্টের নির্দেশের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে কিরগিজ পার্লামেন্টে ফের কবে ভোট হবে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় এরই মধ্যে এক হাজার ২০০র বেশি মানুষ আহত ও একজন নিহত হয়েছে।