সিরিয়া যুদ্ধ: রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2020, 08:02 AM
Updated : 19 Sept 2020, 08:02 AM

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার বিবিসি জানায়, সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি ছয়টি অস্ত্র সজ্জিত ট্যাংক এবং শতাধিক সেনা পাঠিয়েছে।

গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে মার্কিন এবং রুশ বাহিনী নিয়মিত টহল দেয়। এ বছর দুই বাহিনী বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হওয়ায় ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে।

শুক্রবার ‘ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই যৌথ বাহিনীকে সুরক্ষা দেবে।”

এ মার্কিন কর্মকর্তা সরাসরি রাশিয়ার নাম উল্লেখ না করলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা রাশিয়াকে স্পষ্ট করে পারষ্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘাত কমিয়ে আনার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা মেনে চলার কথা বলছি। সেখানে রাশিয়া এবং অন্যান্য দলগুলোর সব ধরনের অপেশাদার, অনিরাপদ এবং উসকানিমূলক কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।”

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানায়, উত্তরপূর্ব সিরিয়ার একটি ‘নিরাপদ জোন’ যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনী এবং কুর্দিরা কার্যক্রম পরিচালনা করে সেখানে রুশ বাহিনীর প্রবেশ আটকাতেই নতুন করে সেনা ও সাঁজোয়া যান পাঠানো হয়েছে।

গত মাসের শেষ দিকে মার্কিন সেনাদের একটি দল রাশিয়ার একটি সাঁজোয়া যানের মুখোমুখি হয়ে গেলে লড়াইয়ে সাত মার্কিন সেনা আহত হয়। লড়াইয়ের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া সরকার এ ঘটনার জন্য পরষ্পরকে দায়ী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রুশ সেনারা তাদের ‘নিরাপদ জোনে’ প্রবেশে করেছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী সেখানে তাদের প্রবেশ করার কথা না।

অন্য দিকে রাশিয়া বলেছে, তারা মার্কিন বাহিনীকে আগেই ওই এলাকায় টহল দেওয়ার কথা জানিয়েছিল।

সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে এখনো প্রায় পাঁচশ’ মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে। তারা সেখানে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দি বাহিনীকে সহায়তা করে।

অন্যদিকে রুশ বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের হয়ে লড়াই করে।

২০১৯ সালের ‍অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে এক হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তার কয়েক ‍মাস পর তিনি বলেন, সিরিয়ার তেল কূপগুলোর সুরক্ষায় তিনি কিছু মার্কিন সেনা দেশটিতে মোতায়েন রাখবেন।