পূ্র্ব চীন সাগরে টাইফুন মাইসাকের কবলে পড়ার পর গাল্ফ লাইভস্টক ওয়ান নামের জাহাজটি থেকে বিপদ সঙ্কেত পাঠানো হয়েছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
লাইফ জ্যাকেট পরা একজন ক্রুকে উত্তাল সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়ার পর উদ্ধার করেছে জাপানের কোস্টগার্ড।
ঝড়ের কারণে সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ ও প্রবল বাতাস বইছে। এর মধ্যেই নিখোঁজ জাহাজ ও এর ক্রুদের সন্ধানে বিমান ও টহল জাহাজযোগে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
মালবাহী ওই জাহাজটিতে ফিলিপিন্সের ৩৯ জন, নিউ জিল্যান্ডের দুই জন ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জন নাবিক ছিলেন।
জাপানের কোস্টগার্ডের ভাষ্য অনুযায়ী, যে ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনি ফিলিপিনো ক্রুদের একজন, বড় একটি ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যাওয়ার আগে জাহাজটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ আমামি ওশিমার পশ্চিম দিকের সাগর থেকে জাহাজটি একটি বিপদ সঙ্কেত পাঠায়।
ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপানের ওসাকা শহরের কনস্যুলেটের মাধ্যমে তারা ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে ‘সহযোগিতা’ করছে।
জাপানের কোস্টগার্ড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ধেয়ে আসা টাইফুনের আগেই তারা দ্বিতীয় আরেকটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করছে।
গাল্ফ লাইভস্টক ওয়ান ১৩৯ মিটার (৪৫০ ফুট) দীর্ঘ পানামার পতাকাবাহী একটি মালবাহী জাহাজ। ২০০২ সালে জাহাজটি তৈরি করা হয়েছিল।
টাইফুনের প্রভাবে পূব চীন সাগরের ওই এলাকায় প্রবল বাতাস বয়ে যাচ্ছে ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে তল্লাশি অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে।
পূর্ব চীন সাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে টাইফুন মাইসাক বৃহস্পতিবার ভোররাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে আঘাত হেনেছে। কম্বোডিয়ার একটি গাছের নামে টাইফুনটির নামকরণ করা হয়েছে।
মাইসাকের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।