বৈরুতের বিস্ফোরণে ‘বাইরের সংশ্লিষ্টতা’ উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাইরের সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। বিস্ফোরণটির কারণ বোমা বা বাইরের হস্তক্ষেপ কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে, বলেছেন তিনি।

>>রয়টার্স
Published : 7 August 2020, 04:52 PM
Updated : 7 August 2020, 06:52 PM

স্থানীয় গণমাধ্যমে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট আউন বলেন, “বিস্ফোরণের কারণ এখনও সুনিশ্চিত হওয়া যায়নি। রকেট বা বোমা কিংবা অন্য তৎপরতার মধ্য দিয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ ঘটে থাকতে পারে।”

তবে বিস্ফোরণের কারণ গাফিলতি কিংবা দুর্ঘটনা কিনা সেটিও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের দেওয়া এই বক্তব্য নিশ্চিত করেছে তার কার্যালয়।

গত মঙ্গলবার বৈরুতের বন্দর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বৈরুতের অর্ধেকই ধুলিস্যাৎ হয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১৪৫ জন। আহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ। লাখো মানুষ ঘরহারা হয়েছে, নষ্ট হয়েছে খাবার। যতদূর চোখ যায় কেবল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধ্বংসস্তুপ। তার মাঝে প্রিয়জনদের এখনও খুঁজে ফিরছে মানুষ।

লেবাননের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের জন্য বন্দরের গুদামে হাজার হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিরাপদে না রাখাকে দুষছেন। বিপজ্জনক এই পদার্থের গুদাম নিরাপদে কেন রাখা হল না? এর জন্য দায়ী কে? এমন নানা প্রশ্নের জবাব চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে লেবাননবাসী।

এ পরিস্থিতিতেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা জানালেন প্রেসিডেন্ট আউন।। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে তিনটি পর্যায়ে। প্রথমত:বিস্ফোরক দ্রব্য কীভাবে আসল এবং মজুদ করা হল সেটি দেখা… দ্বিতীয়ত: বিস্ফোরণটি গাফিলতির ফল নাকি দুর্ঘটনা… তৃতীয়ত: বাইরের হস্তক্ষেপ থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা।

প্রেসিডেন্ট আউন এর আগে বলেছিলেন, মারাত্মক বিস্ফোরক পদার্থ বন্দরের গুদামে অনিরাপদভাবে বছরের পর বছর ধরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিক একটি তদন্তে ওই বিস্ফোরকের মজুদ নিয়ে গাফিলতিকে দোষারোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বৈরুতের বিস্ফোরণটি ‘হামলা’ হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেনি। ওদিকে, লেবাননের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক থাকা ইসরায়েল এ বিস্ফোরণে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলছেন, বিস্ফোরণের কারণ পরিস্কার নয়। তবে তিনি এ ঘটনাকে লেবাননে ২০০৫ সালের বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। যে হামলায় নিহত হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক আল হারিরি।