এ পত্রিকাগুলো ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি আল্পসের মঁ ব্লাঁ-র কাছে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেদিনের দুর্ঘটনায় বিমানটির ১১৭ আরোহীর সবাই মারা পড়েন।
যে পত্রিকাগুলো পাওয়া গেছে তার প্রথম পাতায় কংগ্রেসের নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক বিজয়ের খবর আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওই জয় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলার নেহেরুর মেয়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম করে।
ইন্দিরাই ছিলেন ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, তারপর আর কোনো নারী এই পদে বসতে পারেননি।
বরফের নিচ থেকে ৫৪ বছর আগেকার ইন্দিরার জয়ের ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেয়া ন্যাশনাল হেরাল্ড, ইকোনমিক টাইমস ও দ্য হিন্দুর ওই সংখ্যাগুলো উদ্ধার করেছেন স্থানীয় এক রেস্তোরাঁ মালিক।
টিমোথি মোতিনের রেস্তোরাঁটি শামোনি স্কি রিসর্ট এলাকার কাছে অবস্থিত।
“পত্রিকাগুলো শুকানো হচ্ছে, যদিও সেগুলোর অবস্থা খুবই ভালো। আপনি পড়তে পারবেন,” বলেছেন তিনি।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, দুমড়ানো মুচড়ানো অবস্থায় থাকলেও ১৯৬৬ সালের ২০-২৪ জানুয়ারির ওই পত্রিকাগুলো প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে।
কেবল একটি বা দুটি পাতাই নয়, মিলেছে আস্ত পত্রিকাই, বলেছে তারা।
পত্রিকাগুলোকে আপাতত নিজের রেস্তোরাঁতেই রাখার ইচ্ছা মোতিনের। তার রেস্তোরাঁয় ১৯৬৬ সালে দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটির আরও কিছু জিনিসপত্র আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৩ সালে বিধ্বস্ত বিমানটির ভেতর থাকা মূল্যবান রত্নভর্তি একটি বাক্সেরও সন্ধান মিলেছিল।
বাক্সটিতে থাকা পান্না, নীলা ও রুবির এখনকার দাম দেড় লাখ থেকে পৌনে তিন লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের।
বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বাই-লন্ডন রুটের ওই ফ্লাইট ১০১ দিল্লি, বৈরুতে থামার পর জেনিভা যাওয়ার পথে মঁ ব্লাঁ-র কাছে বিধ্বস্ত হয়; মৃত্যু হয় ভারতীয় পদার্থবিদ হোমি জাহাঙ্গির বাভাসহ ১০৬ যাত্রী এবং ১১ ক্রুর।