কোভিড-১৯: আফ্রিকায় শনাক্তকরণ পরীক্ষা, মাস্কের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ

আফ্রিকায় কোভিড-১৯ এ শনাক্ত রোগী ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আঞ্চলিক একটি রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ মহাদেশভুক্ত দেশগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা ও মাস্কের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2020, 11:03 AM
Updated : 9 July 2020, 11:03 AM

বৃহস্পতিবার আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান জন এনকেংগাসন বলেছেন, গত সপ্তাহে আফ্রিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।

আদ্দিস আবাবা থেকে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ তথ্য দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“মহামারী এখন গতিপ্রাপ্ত হচ্ছে,” বলেছেন তিনি।

আফ্রিকা সিডিসির এ প্রধান পরে টুইটারে বলেন, “আমাদের অবশ্যই আগ্রাসী ও শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার মুখে মাস্ক, শনাক্তকরণ পরীক্ষা বৃদ্ধি, রোগী ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত, চিকিৎসা ও এলাকাভিত্তিক প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে। এটাই জীবন ও অর্থনীতি বাঁচাবে।”

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মহাদেশটিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১২ হাজার ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নতুন করোনাভাইরাসে অঞ্চলটিতে মৃত্যু সংখ্যাও পৌঁছে গেছে ১২ হাজারের কাছাকাছি।

আফ্রিকায় শনাক্ত রোগীর ৭১ শতাংশই মিশর, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা ও আলজেরিয়ায় মিলেছে বলে এনকেংগাসন জানিয়েছেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের সত্যিকারের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়াই মুশকিল। অনেক দেশের সরকারই তাদের ভূখণ্ডে মহামারীর তীব্রতা ও তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা স্বীকার করতে চান না।

মহাদেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত কিছু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে তারা উল্লেখ করার মতো শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাতে পারছে না।

আগেভাগে বিধিনিষেধ তুললে সংক্রমণ বেড়ে যাবে জানা সত্ত্বেও অর্থনীতির করুণ দশা বিবেচনায় এরই মধ্যে আফ্রিকার অনেক দেশ লকডাউন শিথিলের পথও বেছে নিয়েছে।