রোববার শহরটিতে নতুন আরও ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, তাদের সবাই এক ধোপাখানার কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন নারীর স্বজন।
৪৫ বছর বয়সী ওই নারী থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে তার স্বামী, বোন ও পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
সাম্প্রতিক সময়ে ওই নারী কোথাও ভ্রমণ করেননি বলে দাবি করা হয়েছে।
শুলানের সব জনসমাগম স্থান, গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। শহরটিকে উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে চীনের সোশাল মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠেছে। ওই নারী কীভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা শুরু হয়েছে।
শুলান থেকে বলছেন বলে দাবি করা বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ভাইরাসটি ‘প্রতিদিন আরও কাছে চলে আসছে’ বলে অনুভব করছেন তারা।
চীনের জিলিন প্রদেশের এই শহরটির পাশেই উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত। উত্তর কোরিয়া তাদের দেশে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত নেই বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু দেশটি প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যবেক্ষক।