ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে দেহ পলিথিনে মুড়ে বিমানযাত্রা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দুই যাত্রীর নিজেদের শরীর পলিথিনে মুড়ে বিমানে চড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2020, 09:48 AM
Updated : 23 Feb 2020, 10:00 AM

ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস জনিত রোগ কভিড-১৯ এ এরই মধ্যে দুই হাজার ৪০০র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে; সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় ৩০টি দেশে।

প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে ওঠা ওই দুই যাত্রী পলিথিনের শিটে নিজেদের সারা শরীর মুড়ে নিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে আতঙ্কিত দুই নারী-পুরুষকে পলিথিন দিয়ে মাথা এবং দুই বাহু ঢাকতে দেখা গেছে; মুখের সামনের অংশে মাস্ক তো ছিলই। 

গোলাপি পলিথিনে শরীর মোড়া নারী যাত্রীটি ছিলেন ঘুমিয়ে। তার মুখের মাস্কটিতে ছিল ছোপ ছোপ নকশা।

অন্যদিকে পাশে বসা পুরুষ সহযাত্রীর শরীর ঢাকা ছিল সাদা, স্বচ্ছ পলিথিনে, মুখে মাস্কের পাশাপাশি তার হাতে দস্তানাও ছিল।

আলিসা নামে ওই বিমানেরই আরেক যাত্রী এ দুজনের ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন।

“বিমানে এখন আমার পেছনে (দুই যাত্রী) । করোনাভাইরাস, কভিড-১৯ নিয়ে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়লে কেউ কেউ যা করেন,” পলিথিনে গা ঢাকা দুই যাত্রীর ভিডিও শেয়ার দিয়ে লেখেন তিনি।

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক কী ভয়াবহ আকার নিয়েছে, দুই বিমানযাত্রীর এ ভিডিওতে তার প্রমাণ মিলেছে। পরিস্থিতি এখন এমনই উদ্বেগ সৃষ্টি করলেও পলিথিনে গা ঢেকে নেওয়ার অভিনব এ পদ্ধতিতে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল হাস্যরস।

“ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে নিরাপদ থাকা ভালো- এমন বিকল্পও থাকা উচিত। যদিও আমি এভাবে দমবন্ধ হয়ে মরতে পারবো না,” লিখেছেন এক ব্যবহারকারী।

আরেকজন আবার বলেছেন, পলিথিনে শরীর মুড়ে নিলেও দুই যাত্রীর ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদের মতোই।

“বিমানের সবাই যে বাতাস থেকে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তিনিওতো একই বাতাস থেকেই নিচ্ছেন,” ভাষ্য তার।

অন্য এক পোস্টে এক ব্যবহারকারী পলিথিনটিতে সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।

“দুর্ভাগ্যবশত, যদি পলিথিনেই ভাইরাস থাকে, তাহলে আপনি যখন সেটি খুলতে যাবেন তখনও তো আক্রান্ত হতে পারেন। এমনিই ভাবছি, এমনটা হতেও তো পারে,” লিখেছেন তিনি।

অন্য একজনের মন্তব্য, “সম্ভবত, তারা এমন কিছু জানে, যা বাকি বিশ্ব জানে না। আমার আশা, এতসব প্লাস্টিকে গা ঢাকার পর তারা নিরাপদেই আছেন। আমি এরকম দমবন্ধ থাকতে পারবো না।”

অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের সবার সঙ্গেই চীনের ভাইরাস উপদ্রুত শহর উহানের ‘প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ যোগ’ মিলেছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।