দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলি শামখানিকে উদ্ধৃত করে ইরানি বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, তেহরান প্রতিশোধের ১৩টি বিকল্প বিবেচনা করে দেখছে।
“এমনকি সবচেয়ে দুর্বল বিকল্পটিও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐতিহাসিক দুঃস্বপ্ন হিসেবে হাজির হবে,” বলেছেন তিনি।
মেজর জেনারেল সোলেমানি নিহত হওয়ার দিন থেকেই ইরানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ’ নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার সোলেমানির দাফন অনুষ্ঠানে পদদলনের আগে উপস্থিত লাখো মানুষের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশটির বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন, “আমরা প্রতিশোধ নেবো, কঠিন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিশোধ।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেছেন, তার দেশ সোলেমানি হত্যাকাণ্ডের ‘সমানুপাতিক’ প্রতিশোধের কথা ভাবছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইরান বদলা নিলে তিনিও দেশটিতে পাল্টা হামলার লক্ষ্যে ৫২টি ‘টার্গেট’ বেছে রেখেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুই দেশের কথার লড়াইয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করলেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের পথে নামবে না। উল্টো তারা লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও ফিলিস্তিনের হামাসের মতো আঞ্চলিক মিত্রদের মাধ্যমে মার্কিন সেনা-স্থাপনা ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলোর ওপর হামলা জোরদার করতে পারে।
প্রতিশোধের উপায় হিসেবে হরমুজ প্রণালীকে ঘিরেও ইরান পরিকল্পনা সাজাতে পারে বলেও অনুমান অনেকের।