এনডিটিভি জানায়, দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল হয় শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মীরা। আর এর চার কিলোমিটার দূরের একটি ময়দানে এ আইনের সমর্থনে বিপুল জনসমাগম হয়।
সদ্য ভারতের মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পাওয়া জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (এনপিআর) নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন ‘‘এনপিআর জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি)প্রথম ধাপ। আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে। প্রতিবাদ থামবে না। যতদিন না এই আইন বাতিল হচ্ছে আন্দোলন চলবে।
আজাদ ময়দানের বিক্ষোভে বহু অভিনেতা এবং তারকারাও যোগ দেন। এর বিপরীতে কাছের আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল বের হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও তা উপেক্ষা করেই শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছেন। বিক্ষোভকারীরা এগনোর চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবারও জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই জামা মসজিদের সামনেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু’পক্ষেরই অনেকে আহত হয়।
নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা, এ আইন এবং এনআরসি প্রয়োগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদেরকে ভারত থেকে তাড়ানোর চেষ্টা হতে পারে।