উ. কোরিয়ার যে কোনো ‘বড়দিনের উপহারের’ জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হুমকি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তার দেশ পিয়ংইয়ংয়ের যে কোনো ‘বড়দিনের উপহারের’ মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2019, 03:10 PM
Updated : 25 Dec 2019, 03:10 PM

কিম জং উন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে ওয়াশিংটন তা ‘সফলতার সঙ্গেই মোকাবেলা করবে’ বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

বছর শেষের আগেই পিয়ংইয়ং একটি দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এমন গুঞ্জন ও আশঙ্কার মধ্যে মঙ্গলবার ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

“আমরা দেখবো কি বিস্ময় অপেক্ষা করছে এবং আমরা সফলতার সঙ্গেই তা মোকাবেলা করবো। দেখছি কী হয়,” ফ্লোরিডার মার-আ-লগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি এমনটাই বলেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, কিম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বদলে ফুলের তোড়া পাঠানোরও পরিকল্পনা করতে পারেন।

“এটি চমৎকার কোনো উপহারও হতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বদলে তিনি আমাকে ফুলের তোড়াও পাঠাতে পারেন,” রসিকতা করে বলেন এ রিপাবলিকান। 

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যকর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হতে তাগাদা দিয়ে আসছে। গত কয়েক মাসে দেশটি বেশ কয়েকদফা ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণ করে ওয়াশিংটনের ওপর চাপও বাড়িয়ে যাচ্ছে।

ডিসেম্বরে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সময় দিয়ে জানায়, “এই বড়দিনে তারা কী উপহার চায়, তা পুরোপুরি তাদের উপরেই নির্ভর করছে।”

উত্তর কোরিয়ার এ হুঁশিয়ারিকে সম্ভাব্য দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা।

এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে গত বছর সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের সম্মেলনে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে আহ্বান জানিয়েছে চীন। 

“স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বাস্তবতা বুঝে সম্ভাব্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কাজ করা উচিত,” পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-কে উদ্ধৃত করে টুইটারে দেওয়া পোস্টে এমনটাই বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।