শুক্রবার তিনি আগামী দিনের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছেন, সোমবার থেকে ফের জেলায় জেলায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। ২৩ ডিসেম্বর প্রত্যেক মহকুমায় প্রতিবাদ মিছিল হবে। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় হবে প্রতিবাদ মিছিল। ২৬ ডিসেম্বর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন প্রতিবাদ মিছিল করবে বলে জানান মমতা।
তিনি আরো জানান, ২৭ ডিসেম্বর সিঙ্গুর থেকে কৃষকরা মিছিল করবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর রাজ্যের সবকটি বিধানসভায় মিছিল করবে তৃণমূল। এরপর ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে নাগরিক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে।
মমতার কথায়, নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সবাইকে গরজে উঠতে হবে। কিন্তু সেই প্রতিবাদ যেন হয় জনজীবন চালু রেখে, শান্তিপূর্ণভাবে। কোনো ভাঙচুর নয়, আগুন নয়, সহিংসতা নয়। গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে যাতে কালা কানুন প্রত্যাহারে বাধ্য হয় কেন্দ্র। তাই শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলা জুড়ে।
এর আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশে তোলপাড়ের মধ্যে সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বলেছিলেন, এ বিতর্কিত আইন নিয়ে "মানুষের মতামত নেওয়া হোক"। বৃহস্পতিবারই নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা জাতিসংঘের নজরদারিতে গণভোটের প্রস্তাব দেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিশাল জনসভায় মমতা বলেছিলেন, “বিজেপির সাহস থাকলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে তারা জাতিসংঘের নজরদারিতে গণভোট করুক”। কিন্তু তারপরেই তাকে আক্রমণ করে বিজেপি এমন প্রস্তাব তোলার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে বলে।