পোষা কুকুরদের সঙ্গে নিয়ে ২৯ বছর বয়সী ওই নারী হাঁটতে বের হয়েছিলেন, পরে ভিলা কোটেরেস শহরের কাছে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তদন্তকারী ফ্রেডিরিক থ্রিন বলেন, “হাতে, পায়ে ও মাথায় অনেকগুলো কুকুরের কামড়ে তার মৃত্যু হয়।”
ওই নারীর ওপর হামলার জন্য দায়ী কুকুরদের শনাক্ত করতে ৯৩টি কুকুরকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওই নারীর পোষা পাঁচটি কুকুরও আছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ওই নারী মাথা, শরীর ও হাতে কুকুরের কামড়ের দাগ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তারা নরহত্যার তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তকারী দপ্তরের ভাষ্যমতে, ওই নারী তার স্বামীকে ফোন করে একদল কুকুর তাকে আক্রমণে উদ্যোত হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি বনে গিয়ে স্ত্রীর পোষা কুকুরদের করুণ চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তার মৃতদেহ দেখতে পান।
হাউন্ডগুলো হরিণ শিকারে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সংবাদপত্র কুরিয়ার পিকার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার পর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অভিনেত্রী ব্রিজিত বার্দো ‘এই ঋতুতে শিকারের সব অনুমতি বাতিল করার’ জন্য ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শিকারে নিয়োজিত হাউন্ডদের জড়িত থাকার’ কোনো প্রমাণ নেই বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ফ্রান্সের হান্টিং এসোসিয়েশন।