পরিবহন সংকট ও নিরাপত্তাজনিত কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে তারা।
এর আগে হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে গত মঙ্গলবার শহরের কয়েকটি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রতিষ্ঠান রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকাসহ দুটো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বুধবারও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সংঘর্ষ হয়েছে। হংকংয়ের চাইনিজ ইউনিভার্সিটিতে রাতভর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। নগরীর অন্যান্য অংশেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এরপরই বুধবার বিকালে হংকং এডুকেশন ব্যুরো এক ঘোষণায় বলেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন, প্রাইমারি স্কুল এবং হাই স্কুলে বৃহস্পতিবার ক্লাস বন্ধ থাকবে।
বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ে সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা এটিই প্রথম। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আগামী কয়েকদিন ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময়ের আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা হংকংয়ে আইনের শাসনকে ‘পুরোপুরি পতনের দ্বারপ্রান্তে’ ঠেলে দিয়েছে বলে মঙ্গলবার সতর্ক করেছে পুলিশ। মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি আদায়ের আশা নিয়ে বেপরোয়াভাবে সহিংস হয়ে উঠছে বলে ভাষ্য পুলিশের।
চীনের মূলভূখণ্ডে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত জুন মাস থেকে হংকংয়ে এ আন্দোলন-বিক্ষোভ শুরু হয়।
টানা বিক্ষোভের মুখে ওই বিল প্রথমে ‘মৃত’ এবং পরে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আন্দোলন থামেনি। বরং গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের আরো অনেক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।